তৃতীয় শক্তির আবির্ভাব চায় না বিএনপি: মোশাররফ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আর এই অস্থিরতা তৈরির পেছনে সরকারের ভূমিকাকে দায়ী করেছেন তিনি। তবে বিএনপির এই অন্যতম নীতিনির্ধারক মনে করেন, সমস্যা যেহেতু রাজনৈতিক, এর সমাধানও রাজনীতিকদের হাতেই। তার মতে, কাল রাস্তায় বেরোলে কি হবে, তা-ই প্রতিনিয়ত মানুষকে তাড়া করে ফিরছে। এর জন্য দায়ী সরকার। কারণ দেশে যাতে কোনো নির্বাচন না হয়, সেজন্য সরকার এই ধরনের অস্থিরতা তৈরি করছে।
সম্প্রতি অনলাইন দৈনিক আরটিএনএন’র সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় খন্দকার মোশাররফ হোসেন চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা, সংলাপ, রাজনীতিকদের করণীয়, যুদ্ধাপরাধের বিচারে বিএনপির অবস্থান, শাহবাগকারীদের ভূমিকাসহ নানা বিষয় তুলে ধরেছেন।
নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তার কথা অকপটে স্বীকার করলেও তিনি নিজের দল বিএনপি আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য শতভাগ প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে বলে দাবি করেছেন। পাশাপাশি যত সংঘাত আর অস্থিরতায় চলুক না কেন কোনোভাবেই মোশাররফ চান না ১/১১’র মতো আবার দেশে তৃতীয় কোনো শক্তির আবির্ভাব ঘটুক।
তার মতে, ‘আমরা কখনো চায় না উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি কিংবা সরকারের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে দেশে তৃতীয় শক্তির আবির্ভাব হোক।’
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা সাফ জানান, বিএনপি কোনোভাবেই দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। সংলাপ বা আলোচনা যা-ই শুরু করা হোক না কেন বিএনপির দাবি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পুনর্বহাল। এখান থেকে তারা এক চুলও নড়বে না। এই দাবি আদায়ে দিনকে দিন আন্দোলন কঠোর করা হচ্ছে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
মোশাররফ হোসেন আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘সরকারের আচরণে আমাদের আশঙ্কা ক্ষমতা দীর্ঘ করতে তারা জরুরি আইন জারি করতে পারে। তবে সত্যিকার অর্থে তা হলে রাজনীতি, অর্থনীতি, গণমাধ্যম তথা গোটা দেশের জন্য চরম অকল্যাণ বয়ে আনবে। তবে সরকারের এই ঘৃণ্য প্রচেষ্টা আমরা জনগণকে নিয়ে প্রতিহত করতে প্রস্তুত রয়েছি।’
তিনি জানান, জরুরি আইন জারি করে আওয়ামী লীগ যদি মনে করে তারা পার পেয়ে যাবে, তা হবে চরম ভুল। কেন না ১/১১’র অভিজ্ঞতা তেমন বলে না। এখানে রাজনৈতিক দলের চেয়েও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশ।