‘নির্যাতন না থামলে আরো কঠোর কর্মসূচি’
ডেস্ক রিপোর্ট : সরকার ‘জুলুম-নির্যাতন ও গণহত্যার’ পথ থেকে সরে না এলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেয়া বলে হুঁশিয়ার করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার হরতালের সকালে নয়া পল্টনে দলের কার্যালয়েল সামনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “কয়েকদিনের মধ্যে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। আগামী ১০ এপ্রিল বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া নয়া পল্টনের কার্যালয়ের সামনে ১৮ দলীয় জোটের সমাবেশ থেকে নতুন কর্মসূচি দেবেন।”
পুলিশ গ্রামে গ্রামে ‘গণহত্যা’ চালাচ্ছে অভিযোগ করে এই বিএনপি নেতা বলেন, “বাতাসে আজ লাশের গন্ধ পাওয়া যায়। বারুদ্ধে গন্ধে ভরপুর। বন্দুকবাজ এই সরকারের হাত আজ রক্তে রঞ্জিত হয়ে আছে।” এ রকম পিরিস্থিতিতে জনগণের আন্দোলন করা ছাড়া বিকল্প নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেন। ওইদিনই গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ১৮ দলের বৈঠকের পর হরতালের ঘোষণা দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চাঁপাই নবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জের বেলকুচি, খুলনার ডুমুরিয়া ও তেরোখাদায় পুলিশের সঙ্গে জামায়াত ও বিএনপি কর্মদের সংঘর্ষে হতাহতের প্রতিবাদে এবং আটক নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে মঙ্গলবার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা এই হরতাল করছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট। হরতালে সকাল থেকেই নয়া পল্টনে কার্যালয় পুলিশ ঘিরে রেখেছে। রয়েছেন র্যাব সদস্যরাও। কাছাকাছি রয়েছে পুলিশের সাঁজোয়া যান, রায়ট কার ও জলকামানের গাড়ি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সহ দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনিসহ কয়েকজন কর্মী কার্যালয়ে ভেতরে অবস্থান করছেন। বিভিন্ন স্থানে গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনার জন্য সরকারকে দায়ী করে যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন বলেন, “এসব ঘটনা সরকারের এজেন্টরা করছে। নিজেরা করে বিরোধী দলের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।” সোমবার নয়া পল্টনে বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশের শেষ দিকে তিনটি গাড়িতে আগুন দেয়া হয় এবং হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনাও ‘সরকারের এজেন্টরা’ ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেন সালাহউদ্দিন। তিনি গণমাধ্যমের গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ‘নিন্দা’ জানান। আটক নেতাদের মুক্তির দাবি জানিয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘‘ নেতা-কর্মীদের মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবে। সরকারকে বলব, এখনো সময় আছে, নির্যাতনের পথ থেকে সরে আসুন। নেতাদের মুক্তি দিন।’’ তিনি দাবি করেন, সারাদেশে ‘সর্বাত্মক’ হরতাল হচ্ছে।