‘সরকারের আম যাবে, ছালাও’

হেফাজতে ইসলামের দাবির পর ব্লগারদের গ্রেপ্তারের প্রেক্ষাপটে সরকারের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন মহাজোটের শরিক দলগুলোর নেতারাও।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, “দুই নৌকায় পা দিলে আমও যাবে, ছালাও যাবে।”
সরকার ‘দিশাহীন’ অবস্থায় দেশ পরিচালনা করছে বলে বুধবার এক অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন তিনি, যাতে সহমত পোষণ করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য নেতা তোফায়েল আহমেদও।
যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে গণজাগরণ আন্দোলন শুরুর পর শাহবাগের আন্দোলনকারীদের ‘নাস্তিক’ আখ্যা দিয়ে মাঠে নামে হেফাজতে ইসলাম।
তাদের দাবির পর ব্লগারদের গ্রেপ্তার এবং ইন্টারনেটে লেখালেখি পর্যবেক্ষণে কমিটি গঠন মৌলবাদীদের কাছে সরকারের ‘নতি’ স্বীকার বলে মন্তব্য অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের।
সরকার সাম্প্রতিক কার্যক্রমে অসন্তোষ প্রকাশ করে মেনন বলেন, “দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আমরা নিজেরাই উদ্বিগ্ন। দেশ আসলে কোন দিকে যাচ্ছে?
“আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছি, আবার হেফাজতে ইসলামীকেও সমর্থন দিচ্ছি। আমরা একবার এদিকে যাচ্ছি, আবার ওদিকে যাচ্ছি। আমি নিজে আতঙ্কিত।”
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ আইন চান মেনন
“বাংলাদেশ কি আবার ইসলামিকীকরণের দিকে যাচ্ছে,” প্রশ্ন করেন মহাজোটের এই নেতা।
যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্মের আন্দোলনকে সমর্থন করে আবার ব্লগারদের গ্রেপ্তার দ্বিমুখিতার প্রকাশ বলে মনে করেন তিনি।
“দুই নৌকায় পা দিলে চার দিকই হারাতে হবে,” সরকারকে সতর্ক করেন সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদও।
“লক্ষ্য ঠিক করে আমাদের অগ্রসর হতে হবে। আমরা ‘গোল’ ঠিক করতে পারছি না।”
দেশে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও সরকারকে সে বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের এই সদস্য।
শেরে বাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে আগামী অর্থবছরের বাজেট নিয়ে মতবিনিময় সভায় রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন মেনন ও তোফায়েল।
সংসদীয় স্থায়ী কমিটিগুলোর সভাপতিদের সঙ্গে এই সভা করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
মেনন শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত এবং তোফায়েল শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি।
দুই সংসদ সদস্য কথা বললেও রাজনৈতিক বিষয়ে অর্থমন্ত্রী কোনো কথা বলেননি। সাংবাদিকরা প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলেও তিনি তা এড়িয়ে যান।