লংমার্চ বানচালে নেমেছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা: ফখরুল

ডেস্ক রিপোর্ট : হেফাজতে ইসলামের শনিবারের লংমার্চ কর্মসূচি বানচাল করতে সরকার রাজধানীর প্রবেশপথে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা মাঠে নেমেছে বলে অভিযোগ করেছে ১৮ দলীয় জোট।
শুক্রবার রাতে জোটের পক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে এই অভিযোগ করেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “লংমার্চ প্রতিহত ও প্রতিরোধ করার জন্য সরকার, আওয়ামী লীগ, ১৪ দলীয় জোটের ব্যানারে বিভিন্ন দল, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, সেক্টার কমান্ডারস ফোরাম, তথাকথিত গণজাগরণ মঞ্চ অগণতান্ত্রিক প্রতিহিংসামূলক অনেক পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করে মাঠে নেমেছে। তারা (সরকার) বিভিন্ন কৌশলে ষড়যন্ত্র করে রাজধানীর প্রবেশপথগুলোতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচি প্রতিহত ও প্রতিরোধ করার জন্য অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে মাঠে নেমেছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, কামরাঙ্গীরচরে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ইতিমধ্যে হেফাজতের লংমার্চের মিছিলে সশস্ত্র হামলা করে গুলি চালিয়েছে।
কথিত ‘নাস্তিক’ ব্লগারদের শাস্তিসহ ছয় দফা দাবিতে লংমার্চ করে ঢাকায় এসে শনিবার মতিঝিলে সমাবেশ করার কথা রয়েছে চট্টগ্রামভিত্তিক হেফাজতের, যাদের বিরুদ্ধে জামায়াত ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ রয়েছে। এ কর্মসূচিতে নৈতিক সমর্থন দিয়েছে বিএনপি।
হেফাজতের কর্মসূচি প্রতিহতের ডাক দিয়ে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও ২৫টি সামাজিক-সাংস্কৃতিক-পেশাজীবী সংগঠন শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে ২৪ ঘণ্টার হরতাল পালন করছে। বামপন্থী দলগুলোর এ হরতালে সমর্থন রয়েছে।
এছাড়া গণজাগরণ মঞ্চ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শনিবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত সড়ক, নৌ ও রেলপথ অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি, হেফাজতের লংমার্চ ও সমাবেশ কর্মসূচি পালনে সহযোগিতা করুন। অন্যথায় যেকোনো পরিস্থিতির দায়ভার সরকারকে বহন করতে হবে।”
শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে ডাকা হরতালকে ইতিহাসে নজিরবিহীন অভিহিত করে তিনি বলেন, “দেশের প্রায় সব জেলায় পরিবহন ধর্মঘট আহবান করিয়ে সরকার নিয়ন্ত্রিত হরতাল ও কারফিউ জারির মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। স্থলপথ, নৌপথ, ফেরিচলাচলসহ সব পথ সরকার বন্ধ করে দিয়েছে।”