দু’দফায় জুমের মালিকের ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতির অভিযোগ কমলগঞ্জে শত্রুতার বশে পান জুমের ১২০ গাছ কর্তন

এবাদুল হক, কমলগঞ্জ : মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুরে শত্রুতার বশে তিন মাস পূর্বে শতাধিক পান গাছ কেটে দেয়ার দ্বিতীয় দফায় একই মালিকের একটি পান জুমে ১২০টি পান গাছের গোড়ায় কেটে দিয়েছে দুবৃত্তরা। ফলে দু’দফায় প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পান জুমের মালিক। এ ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত পানজুম মালিক। গত বুধবার ভোর রাতে মাধবপুর ইউনিয়নের মাঝেরছড়া পাহাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে দেখা যায়, গ্রামের আব্দুল বারিক ও আব্দুল খালিক দু’ভাইয়ের ৫০/৬০ বছর পূর্বের নিজস্ব ও লিজকৃত প্রায় তিন একর পরিমাণ পাহাড়ি ভূমিতে লেবু বাগানের মাঝে গাছে গাছে খাসিয়া পান জুম গড়ে তোলেছেন। চলতি শুকনো মৌসুমে ছড়া ও পুকুরের নিচ থেকে সেচ পাম্প লাগিয়ে টিলাভূমির পান গাছের গোড়ায় হাল্কা পানি দিচ্ছেন। জুম থেকে পান বিক্রি করে তারা সাফল্যও লাভ করছেন। পান জুম মালিক আব্দুল বারিক ও তার ভাই আব্দুল খালিক অভিযোগ করে বলেন, জমিজমা নিয়ে পূর্বের কিছুটা বিরোধের জের ধরে তাদের বাড়ির পার্শ্ববর্তী শাহজাহান মিয়া, লুৎফুর মিয়াসহ কতিপয় দুষ্কৃতিকারীরা প্রথম দফা গত ২৮ ডিসেম্বর রাতে তাদের জুমের ৩শ’টি পান গাছের গোড়ায় কেটে দিলে প্রায় ১৪ থেকে ১৫ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি সাধিত হয়। এ ঘটনায় তারা কমলগঞ্জ থানায় অভিযোগ দিলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তারা আরও বলেন, দ্বিতীয় দফা বুধবার ভোররাতে ঐ দুষ্কৃতিকারীরা পান জুমের ১২০টি বড় বড় গাছের গোড়ায় কেটে দিয়েছে। এতেও তাদের ৭ থেকে ৮ লাখ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এ ঘটনায় পান জুম মালিক আব্দুল বারী বৃহষ্পতিবার কমলগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
মাধবপুর ইউপি চেয়ারম্যান পুষ্প কুমার কানু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। প্রথম পর্যায়ে অভিযোগ দেয়ার পর বাদি পক্ষ থানায় নামও উল্লেখ করেছে। পুলিশ কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় এখন আবার পান জুমের গাছ কেটে দিয়েছে।
তবে অভিযোগ বিষয়ে অভিযুক্ত শাহজাহান মিয়া বলেন, তার মুদী ব্যবসা ছাড়া ছোটখাটো একটি লেবু বাগান রয়েছে। তার উপর আরোপিত অভিযোগ সঠিক নয় এবং এটি একটি ভিত্তিহীন অভিযোগ বলে তিনি দাবী করেন।
অভিযোগ সম্পর্কে কমলগঞ্জ থানার ওসি নীহার রঞ্জন নাথ বলেন, ঘটনাটি তদন্তাধীন আছে। তদন্তক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।