মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে বিপর্যসত্ম বড়লেখাবাসী

জালাল আহমদ, বড়লেখা : এখনো চৈত্রের তাপবিকিরণ পুরোমাত্রায় শুরম্ন হয়নি অথচ এরই মধ্যে মৌলভীবাজারের বড়লেখায় বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে জনজীবন বিপর্যসত্ম হয়ে পড়েছে। একই সাথে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে চলমান এইচএসসি পরীড়্গার্থীরা। গত এক সপ্তাহ থেকে দিন-রাত মিলে ১৫ বারের অধিক সময় লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ছে এ উপজেলাবাসী।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বড়লেখার বিদ্যুৎ বিভাগের এখন হ-য-ব-র-ল অবস্থা চলছে। ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিং থাকায় জনগণকে পোহাতে হয় নানা সমস্যা। গ্রীষ্ম ঋতু শুরম্ন হওয়ার আগেই শুরম্ন হয়ে গেছে বিদ্যুতের অবাধ তেলেসমাতি এবং যতবারই এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ অফিসে ফোন করে জানতে চাওয়া হয় ততবারই সেই ভাঙ্গা রেকর্ডের মত শোনানো হয় ‘‘মেইন লাইন বা ফেঞ্চুগঞ্জে সমস্যা’’ এই খোড়া যুক্তি শুনতে শুনতে গ্রাহক সাধারণ এখন বিরক্ত হয়ে পড়েছেন। কি আছে ফেঞ্চুগঞ্জে, কি রহস্য লুকিয়ে আছে সেখানে বড়লেখাবাসী তা জানতে চায়। নাকি গ্রাহকদের এই চরম ভোগানিত্মর পেছনে রয়েছে মেনটেনেন্স বাবদ লাখ লাখ টাকা লোপাটের অভিনব কৌশল। প্রতি অর্থবছরে বিদ্যুৎ বিভাগে টেকনিক্যাল মেইনটেনেন্স এর জন্য লাখ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয় কিন্তু ওই বিপুল পরিমাণের টাকা কোন খাতে ব্যয় হয় তা কেউ জানেন না।
বড়লেখা পলী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা ১২ মেগাওয়াট, বিপরীতে সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ মেগাওয়াট। ফলে প্রতিদিন রাত-দিন মিলে ২৪ ঘন্টায় গড়ে ১৬ ঘন্টা এ উপজেলাবাসী বিদ্যুৎহীন থাকছে। নিকট ভবিষ্যতে এ অবস্থা উত্তরণের কোন সম্ভাবনা নেই বলেও ওই সূত্রটি জানিয়েছে। আর এই মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে উপজেলার বিদ্যুৎনির্ভর প্রতিষ্ঠানগুলো পড়েছে চরম বিপাকে। লোডশেডিংয়ের কারণে চলতি বোরো আবাদ হুমকির মুখে পড়েছে পাশাপাশি চলতি এইচএসসি পরীক্ষার্থীরাও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। এছাড়াও চা বাগান অধ্যূষিত এলাকা হওয়ায় উপজেলার ১৩ টি চা বাগানে বিদ্যুতের অব্যাহত লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে মারাত্মক ড়্গতির শিকার হচ্ছে বাগানগুলো।
এ ব্যাপারে পলস্নী বিদ্যুতের বড়লেখা জোনাল অফিসের ডিজিএম অভিলাষ পাল জানান, আমাদের কিছু করার নেই। মেইন লাইনে সমস্যা থাকায় অনেক সময় বিদ্যুত সরবরাহ রাখা সম্ভব হয় না। তাছাড়া চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ আমরা পাই না।