মৌলভীবাজার জেলার কমলা চাষের উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প প্রয়োজন

মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের অঞ্চলটি দীর্ঘকাল থেকে চায়ের জন্য বিখ্যাত হয়ে আসছে। এর পাশাপাশি শ্রীমঙ্গলের আনারস ও লেবু উৎপাদন করে স্থানীয় চাষীরা আর্থিকভাবে স্বচ্ছলতা অর্জন করেছেন। তারা অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকাও রাখছেন। ২০০৬-২০০৭ অর্থবছরে জেলার বড়লেখা উপজেলার ২৭টি বাগানের মাঝে সীমানত্মবর্তী শাহবাজপুর এলাকায় ১৭টি, নিজবাহাদুরপুরে ৪টি ও বড়লেখা সদরে ২টি, কুলাউড়া উপজেলায় ২২টি এবং জুড়ী উপজেলায় ২৬টি বাগানসহ সর্বমোট ৭৫টি নতুন কমলার বাগান সৃজন করা হয়েছিল। জেলার প্রাথমিক জরিপে দেখা গেছে, কমলা উৎপাদনকারীর সংখ্যা ১ হাজার ১০০ জনের কাছাকাছি।
জেলা কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ২০০৪ সালের মার্চ মাস থেকে যাত্রা শুরম্ন করে বর্তমানে ৬৯ হেক্টর ভূমিতে ফলনত্ম কমলা গাছের সংখ্যা ৩০ হাজার এবং অফলনত্ম গাছের সংখ্যা ২৫ হাজার ৯২৫টি। গড়ে প্রতিটি গাছে ২০০ টির বেশি কমলা ধরে। এ হিসেবে হেক্টরপ্রতি কমলা পাওয়া যায় ১ লাখ ২৫ হাজার টি। আর এর স্থানীয় বাজার মূল্য প্রায় ৬ লাখ টাকা বলে জানা গেছে। জেলার চাষীরা নিজস্ব উদ্যোগে আরও ২৫ হেক্টর ও প্রকল্পের অধীনে ৩১ একর জমিতে কমলার নতুন বাগান করেন।
মৌলভীবাজার জেলায় এ বছর ২ হাজার টিলায় কমলার চাষ হয়েছে। তবে ২০০৮ সালে এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলে বর্তমানে আর কোন প্রকল্প হাতে না নেওয়ায় তা মুখ থুবড়ে পড়ে।
মৌলভীবাজার শুধু কমলা নয়, কমলাজাতীয় অনেক ফল-ফসলাদির গাছ রয়েছে। এ জেলার কমলা গবেষণায় দেখা যায়, বাহির থেকে আসা সাধারণ কমলার চেয়ে এখানকার কমলা বেশি রসালো এবং রসের পরিমাণ ৬৫ ভাগ। যা বাহির থেকে আসা কমলার চেয়ে ১৫ ভাগ বেশি। তবে স্থানীয় কৃষকরা কমলা চাষের জন্য দ্বিতীয় মেয়াদে আগামী বছরে কমলা চাষের প্রকল্প বাসত্মবায়নের জন্য সরকারি উদ্যোগের প্রত্যাশা করেছেন। তাই জেলার কমলাচাষীদের বিনাসুদে ঋণ দিয়ে অবশিষ্ট টিলাগুলোতে কমলা চাষ বাসত্মবায়ন করা হলে দেশের অর্থনীতিতে অভূতপূর্বে সাফল্য অর্জিত হবে বলে স্থানীয় কমলাচাষীদের অভিমত।
এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা এলকে প-িত জানান, কমলা চাষ সম্প্রসারণে একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। আগামী বছর প্রকল্পের কাজ শুরম্ন হবে।