সোনালী ব্যাংকের ২ হাজার কোটি টাকা ‘লোপাট’

ডেস্ক রিপোর্ট : সোনালী ব্যাংকের রমনা কর্পোরেট শাখা থেকে বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২০০৩ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে অর্থ আত্মসাতের এসব ঘটনায় বিএনপি-জামায়াতের ঘনিষ্ঠরাই জড়িত- এমন দাবি করছে দুদক।
দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমানও ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “এ রকম একটি অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। এই মুহূর্তে এর বেশি কোন তথ্য দিতে পারছি না। যথা সময়ে অনুসন্ধানে প্রাপ্ত ফলাফল আপনাদের জানানো হবে।”
অবশ্য দুদকের একজন তদন্তকারী কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “অর্থ লোপাটের এই ঘটনার সঙ্গে শতাধিত প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তি জড়িত। এদের অধিকাংশই বিএনপি-জামায়াতের ঘনিষ্ঠ।”
২০১০ থেকে ২০১২ এর মার্চ পর্যন্ত সোনালী ব্যাংক রূপসী বাংলা শাখাসহ একাধিক শাখা এবং সরকারি- বেসরকারি ৪১টি ব্যাংক থেকে অবৈধ আইবিপি এবং ব্যাক-টু-ব্যাক এলসির মাধ্যমে ৩৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে হল-মার্ক গ্রুপ, ডি এন স্পোর্টস, টি অ্যান্ড ব্রাদার্স, প্যারাগন গ্রুপ, নকশী নিট কম্পোজিট এবং খান জাহান আলী স্যুয়েটার্স।
এর মধ্যে হল-মার্ক গ্রুপ একাই সরিয়েছিল প্রায় ২৬শ’ কোটি টাকা। এই ঘটনার ইতোমধ্যে হল-মার্ক গ্রুপসহ ওই ছয়টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মোট ৩৭টি মামলা হয়েছে।
সরকার নিয়ন্ত্রিত বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক সোনালী ব্যাংক, বাংলাদেশের অর্থ ব্যবস্থাপনা এবং ব্যাংকিং খাতে যার গুরুত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরই- এমন একটি প্রতিষ্ঠান থেকে বিপুল পরিমান অর্থ আত্মসাতের সংবাদ প্রকাশিত হলে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।
হল-মার্কের কারসাজির ঘটনা ফাঁস হওয়ার পরপরই সোনালী ব্যাংকের রমনা কর্পোরেট শাখার অর্থ লোপাটের অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
অনুসন্ধান প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে দুদকের ওই কর্মকর্তা জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের নামের তালিকা তলব করে ইতোমধ্যে সোনালী ব্যাংক রমনা কর্পোটের শাখাকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
চলতি সপ্তাহের মধ্যে সেই চিঠির উত্তর আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।