বিয়ানীবাজারে কুশিয়ারা নদী থেকে প্রবাসীর ভাসমান লাশ উদ্ধার

বিয়ানীবাজার সংবাদদাতা : সিলেটের বিয়ানীবাজারের কুশিয়ারা নদীতে এক প্রবাসীর লাশ উদ্ধার করেছে স্থাণীয় জেলেরা। তিনি উপজেলার গয়লাপুরের ময়নুল ইসলাম ময়না মিয়ার পুত্র বাহার উদ্দিন (৩২)।
জানা যায়, গত এক বছর পূর্বে পাশ্ববর্তী গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের কন্যার সাথে মোবাইল ফোনে বিবাহের আক্দ হয়। তিনি মাস দেড় এক আগে প্রবাস থেকে দেশে ফিরে আসেন। উভয় পরিবারের সম্মতিক্রমে চলতি মাসের ১১তারিখ কন্যকে বরপড়্গের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার দিন তারিখ ধার্য হয়। গত সোমবার রাত আনুমানিক সাড়ে এগারটায় প্রবাসী বাহারের স্ত্রী কুলসুমা বেগমের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হয়। এর এক পর্যায়ে বাহারকে কুলসুমাকে তার বাড়ি আসার জন্য অনুরোধ করে। তখন বাহার তার বাবাসহ পরিবারে অন্যদের বলেন কুলসুমাদের বাড়ি যাচ্ছি ঘন্টা দুই ঘন্টা পর চলে আসব বলে বের হন। রাত বাড়তে থাকে কিন্তু বাহারের বাড়ি ফেরা না হওয়াতে সন্দেহ জাগে পরিবারের। তখন ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দিলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তখন বাহারের ছোট ভাই নাজিম তার ভাবি কুলসুমার কাছে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে তিনি বলেন বাহার আমাদের বাড়ি আসেনি। এরপর বিভিন্ন স্থানে তাকে খোজা খুজি করলেও পাওয়া যায়নি। পর দিন মঙ্গলবার রাতে এ ব্যাপারে বিয়ানীবাজার থানায় জিডি করা হয়। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস গতকাল দুপুরে চরিয়া এলাকার কুশিয়ারা নদীতে স্থানীয় জেলেরা একটি লাশ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পান। পরে বিষয়টি এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়লে বাহারের পরিবারের সদস্যরা ছুটে যান ঘটনাস্থলে। পরে তারা বাহারের লাশ বলে সনাক্তক করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদনেত্মর জন্য সিলেট ওসমানি মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাহারের পরিবারের দাবী বাহারকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। এর দায় ভার মৃত আব্দুল লতিফের পরিবারকে নিতে হবে।