কমলগঞ্জে ফুঁসে উঠছে চা বাগানগুলো : আধা ঘন্টা কর্ম বিরতির পর দাবী সভা শেষে চা সংসদের কাছে স্মারকলিপি

পিন্টু দেবনাথ, কমলগঞ্জ : চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি, ভিটা উচ্ছেদ আইন বাতিলকরণ, চাকুরি ও শিক্ষা কৌটা সংরক্ষণ, শ্রমিক ইউনিয়নের গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার দাবীতে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে চা বাগানগুলো এখন ফুঁসে উঠছে। সকালে কাজ শুরুর মুহূর্তে আধা ঘন্টা কর্ম বিরতি পালন করে দাবী সভা শেষে চা বাগান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশের চা সংসদের চেয়ারম্যানের কাছে একযোগে স্মারকলিপি প্রেরণ করা হয় ২২টি চা বাগানে। গতকাল শুক্রবার ফাঁড়ি বাগানসহ কমলগঞ্জের ২২টি চা বাগানে এক যোগে এ কর্মসূচী পালন করে চা শ্রমিকরা।
জানা যায়, শুক্রবার সাধারন চা শ্রমিকরা কাজে যাবার পূর্বে সকাল ৮ টায় ২২টি চা বাগান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করে আধা ঘন্টার কর্ম বিরতি পালন করে। কর্ম বিরতি পালন শেষে চা শ্রমিকরা স্থানীয় চা বাগান ব্যবস্থাপকদের মাধ্যমে বাংলাদেশের চা সংসদের চেয়ারম্যানের কাছে ন্যায্য দাবী আদায়ে একটি করে স্মারকলিপি প্রেরণ করে। দাবীগুলোর মাঝে উল্লেখযোগ্য ছিল চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরী ১৬০ টাকা করণ, সু-চিকিৎসা, চা শ্রমিক সন্তানদের শিক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন, চা শ্রমিকদের ভূমি অধিকার প্রতিষ্ঠিা করা। চা শিল্পাঞ্চলের মনু-ধলই ভ্যালির (অঞ্চলের) সাধারন সম্পাদক নির্মল দাশ পাইনকা কর্ম বিরতি পালন, দাবী সভা ও স্মারকলিপি পেশের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এটি চা শ্রমিকদের একটি মৌলিক দাবী। এ দাবীগুলো অবশ্যই মালিক পক্ষকে মেনে নিতে হবে। তিনি আরও বলেন চা শিল্পের প্রাণই হচ্ছে সাধারন চা শ্রমিক। আর সাধারন চা শ্রমিকরা যদি বেঁচে থাকার সুযোগ না পায় তা হলে এ শিল্প কিভাবে ঠিকবে ?
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিযনের নির্বাচিত সাধারন সম্পাদক রাম ভজন কৈরী বলেন, সুদীর্ঘকাল ধরে চা শ্রমিকরা যাদের ভোট দিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করে তারাই পরোক্ষভাবে খেটে খাওয়া সাধারন চা শ্রমিকদের নির্যাতন করছেন। এখন সাধারন চা শ্রমিকরা নিজেরাই জেগে উঠেছে। তিনি আরও বলেন কমলগঞ্জের চা শ্রমিকদের আন্দোলন পর্যায়ক্রমে দেশের সবগুলো চা বাগানে ছড়িয়ে পড়বে। তখন চা শিল্পাঞ্চলে একযোগে বড় ধরনের আন্দোলন শুরু হয়ে যাবে।