প্রত্যড়্গদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, রোববার রাতে রাজনগর উপজেলার খাঁরপাড়ায় বৈশাখী উপলড়্গে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছিল। ওই অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিলেন স্থানীয় জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা। রোববার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে সাদা পোষাকে একদল পুলিশ সিএনজি অটোরিক্সা নিয়ে খাঁরপাড়া পাঠাগার সমাজকল্যাণ সমিতির আয়োজনে বৈশাখী উৎসবস্থল থেকে আসামী ধরতে গেলে পুলিশের ওপর হামলা চালায় তারা। এ সময় পুলিশের ব্যবহৃত সিএনজিচালিত অটোরিক্সা ভাংচুর করা হয়। অনুষ্ঠানে পুলিশ অ্যাসল্ট ও ভাংচুরের মামলার কয়েকজন আসামী রয়েছে খবর পেয়ে রাজনগর থানার ওসি নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালায়। অনুষ্ঠানস্থল থেকে ৫ জনকে গ্রেফতারের পর স্থানীয় জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা সংঘবদ্ধ হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। হামলায় আহত হন রাজনগর থানার অফিসার ইনচার্জ নাজিম উদ্দিন, পুলিশ সদস্য মোজাম্মেল হক প্রমুখ। তাদের মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল ও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাতে জেলা প্রশাসক আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে হাসপাতালে যান। আহত এলাকাবাসী তিনজনের নাম জানা যায়নি। তারা স্থানীয় হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনার পরে পুলিশ খাঁরপাড়া এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরও ১৬ জনকে গ্রেফতার করে।
থানা পুলিশ সূত্র জানায়, গত কয়েক দিনের সহিংস ঘটনার সাথে জড়িত এজাহারভুক্ত আসামী জামায়াত-শিবিরের কয়েক জন সদস্য বৈশাখী উৎসবস্থলে অবস্থান করছে এ খবর পেয়ে গ্রেফতার করতে গেলে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা পরিকল্পিতভাবে পুলিশের ওপর হামলা চালায়।
রাজনগর থানার ওসি নাজিম উদ্দিন সোমবার দুপুর ১২ টায় জানান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে একাধিক মামলার আসামীরা রয়েছে খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। এ সময় জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা সংঘবদ্ধভাবে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে তিনিসহ ৫ পুলিশ সদস্য আহত হন। হামলার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।