কালবৈশাখী ঝড়ের আভাস!

ডেস্ক রিপোর্ট : কালবৈশাখী ঝড়ের আভাসের পাশাপাশি সমুদ্র বন্দরে আগের দিনের তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাসে বলেছে, বৃহস্পতিবার ১৯টি অঞ্চলে তীব্র ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
বৈশাখের চতুর্থ দিন বুধবার দেশের বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হয়েছে। ঝড় ও বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
আবহওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বুধবার বেলা আড়াইটা থেকে পরবর্তী ১৫ ঘণ্টার মধ্যে রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ফরিদপুর, ঢাকা, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম,কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে বৃষ্টি, বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।
পশ্চিম অথবা উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বা কোথাও কোথাও আরো বেশি বেগে বয়ে যেতে পারে কালবৈশাখী ঝড়ো হাওয়া।
একই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও এর সংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিমা তীব্র কালবৈশাখী ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর।
এ কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এদিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, মঙ্গলবার দেশের বিভিন্নস্থানে বজ্রপাতে রাঙামাটিতে ১ জন, কক্সবাজারে ৪ জন, সাতক্ষীরায় ৩ জন, ও ব্রাক্ষবাড়িয়ায় ২ জন মারা গেছেন। ঝড়ে ভোলা জেলায় নিহত হয়েছেন ১ জন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মঙ্গলবার দেশের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে নিহত, আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে নগদ অর্থ ও ত্রাণ সামগ্রী বরাদ্দ ও বিতরণ করা হয়েছে।