বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা দফতর বিষমাখানো চিঠিটি শনাক্ত করার কথা জানায়।
গোয়েন্দা দফতরের মুখপাত্র এড ডোনোভান বলেন, হোয়াইট হাউজের অদূরে একটি চিঠির বাক্স থেকে বিষমাখানো চিঠিটি নির্দেশ করা হয়।
এই চিঠিটিও মঙ্গলবারেই আসে বলে জানান তিনি। এর আগে মঙ্গলবার সিনেটর রজার উইকারের কাছে আসা চিঠিতেই বিষের অস্তিত্ব ধরা পড়ে।
গত সোমবার বোস্টনের ম্যারাথনে বোমা হামলায় তিন জন নিহত ১৭০ জন আহত হওয়ার পর থেকে ওয়াশিংটনসহ গোটা দেশেই এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। তার মধ্যে বিষ মাখিয়ে প্রেসিডেন্ট ও সিনেটরকে চিঠি পাঠানোর বিষয়টি কেন্দ্রীয় প্রশাসনকে বাড়তি উদ্বেগে ফেলেছে। চিঠিটিতে বিষাক্ত টক্সিন রিসিন পাওয়া গেছে বলে এফবিআই নিশ্চিত করেছে।
এক বিবৃতিতে এফবিআই জানায়, চিঠিতে বিষের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর সঙ্গে বোস্টনে বোমা হামলার কোনো যোগসূত্র পাওয়া যায়নি। তবে মঙ্গলবারের সিনেটর রজার উইকারের কাছে যাওয়া চিঠিতেও একই ধরনের টক্সিন রিসিন বিষ লাগানো ছিলো।
এই ঘটনার পর কংগ্রেস সদস্যদের অফিসের কাছে সব পোস্ট অফিসে চিঠিপত্র পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে ডেলিভারি দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মার্কিন গোয়েন্দা দফতরের উপ-সহকারী পরিচালক অ্যাডউইন ডোনোভান বলেছেন, “গোয়েন্দা দফতর ইউএস ক্যাপিটল পুলিশ ও এফবিআই’র সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালনায় একটি পোস্টাল সার্ভিস থেকেই বিষমাখানো চিঠিটি শনাক্ত করা হয়। প্রাথমিকভাবে সন্দেহ হওয়ায় দ্রুত চিঠিটি পাঠানো হয় মেরিল্যান্ডের একটি সামরিক ঘাঁটিতে। সেখানে পরীক্ষায় রিসিন বিষ পাওয়া যায়।”
অপর একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ওবামা ও সিনেটর রজারের কাছে পাঠানো দুটি চিঠিরই ভাষা এক। এতে লেখা হয়েছে, ‘কোনো ভুল কাজের কথা জেনে তা প্রকাশ না করা ভুল কাজটি চালিয়ে যাওয়ার প্রতি নীরব সমর্থন।’