বাইক্কা বিলপারের বরম্নণা গ্রামের কলিম উদ্দিন জানান, বিল ব্যবস্থাপনা কমিটির লোকজনই মাছ ধরে বিক্রি করছে। মাইনষের (মানুষের) কথা আমরা কী দোষ করলাম। সরকারের সম্পদ তারাও খাইব (খাব) আমরাও খাইমু (খাব) তবে বিলের ব্যবস্থাপনা কমিটির কর্মকর্তারা অভিযোগ অস্বীকার করে বলছেন, যারা বিল ইজারা নিতে চেষ্টা করেন ও মৎস্যজীবিদের দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে সুদের কারবার করেন, তারাই বিলকে মেনে নিতে পারেননি। কমিটির সভাপতি আবদুস সোবহান চৌধুরী জানান, ৮/১০ দিন আগে বিলের কিছু মাছ মরে ভেসে ওঠে। এই মাছ মৎস্য কর্মকর্তা ও গ্রামের মুরব্বিদের উপস্থিতিতে বাজারে বিক্রি করা হয়। অথচ মাছ চোর এবং যারা বিলটিকে নিজেদের কবজায় নিতে পারেননি, তারা এ ব্যাপারে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়েছেন।
শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মতলিব জানান, ১৪৪ ধারা শুরম্নতে দিলে এভাবে মাছ লুট হতো না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিলের পশ্চিম দিকে শতাধিক মানুষ মাছ ধরছেন। শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশফাকুল হক চৌধুরী জানান, পানি থাকলে লোকজন মাছ ধরতে পারত না। বৃষ্টি হলে এ সমস্যা থাকবে না।
আইপ্যাকের (ইন্টিগ্রেটেড প্রটেক্টেড এরিয়া কো-ম্যানেজম্যান্ট প্রজেক্ট) সাবেক ক্লাস্টার পরিচালক মাযহারম্নল ইসলাম জানান, বিলের পানি ঘোলা হয়ে গেছে। তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় পানিতে অক্সিজেন কমে গেছে। পাখিও কমে গেছে। বাইক্কা বিল রক্ষণাবেক্ষণের সঙ্গে যুক্ত ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ইকো-সিস্টেম অ্যা- লাইভলিহুডের (ক্রেল) এলাকা সহকারী মনিরম্নজ্জামান জানান, গত রোববার নৌকায় করে বিলে ঘুরেছি। পানিতে পচা গন্ধ। বড় বড় প্রচুর মরা মাছ ভেসে থাকতে দেখেছি। জলজ উদ্ভিদ পচে নষ্ট হয়ে গেছে। পাখি কমে গেছে।