সূত্র জানায়, মৌলভীবাজার-শ্রীমঙ্গল ও মৌলভীবাজার-কাশিমপুর ৩৩ কেভির সঞ্চালন লাইনটি হাইল হাওর ও কাউয়াদীঘি হাওরের ওপর দিয়ে টানা হয়েছে। এতে বর্ষা মৌসুমে টাওয়ার প্রায় ৭-৮ ফুট কোথাও আরও বেশি পানির নিচে তলিয়ে যায়। অনেক টাওয়ার বা খুঁটির নিচের অংশ খসে পচন ধরেছে। তাছাড়া হাওরে পানি থাকায় বর্ষায় মাটি নরম হয়ে খুঁটি নড়বড়ে হয়ে যায়। সামান্য ঝড়ো হাওয়ায় খুঁটিগুলো হেলে পড়ে। কোথাও ভেঙে তার ছিঁড়ে যায়।
অপরদিকে মৌলভীবাজার-ফেঞ্চুগঞ্জ ও কুলাউড়া-ফেঞ্চুগঞ্জ লাইনটি হাওর ও পাহাড়ি এলাকা এবং সড়কও জনপথের রাস্তা দিয়ে টানা হয়েছে। ঝড়ের সময় এ লাইনের ওপর গাছপালা ভেঙে পড়ে তার ও খুঁটি ক্ষতিগস্ত হয়। প্রতি বছর লাইন সংস্কার খাতে পিডিবি’র বিাভন্ন খাত থেকে প্রকৌশলীরা ৫ লড়্গাধিক টাকার (ইমপ্রেস ভাউচার) উত্তোলন করলেও এর সিকিভাগ কাজ হয়নি লাইন সংস্কারে। উত্তোলনকৃত টাকা লুটপাট করা হয়েছে।
মৌলভীবাজার পিডিবি’র বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের ও পলস্নী বিদ্যুতের আওতাধীন রাজনগর, কুলাউড়া, বড়লেখা, জুড়ী, কমলগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, বাহুবল, হবিগঞ্জ সদর, বানিয়াচং উপজেলা এবং মৌলভীবাজার জেলা সদরে বিদ্যুত গ্রাহকরা ছাড়াও ছোট-বড় কলকারখানাগুলোকে চরম ভোগানিত্ম পোহাতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মৌলভীবাজার পিডিবি’র বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে খুঁটিতে স্থাপিত তার এলোমেলো হয়ে লাইনে ত্রম্নটি দেখা দেয়। তাই লাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আবার চালু করতে অনেক সময় লাগে। তাছাড়া লোকবল ও যানবাহন সংকট থাকায় কাজ করতে সরেজমিন লোক পাঠাতে অনেক ক্ষেত্রে বিলম্ব হয়।
এ ব্যাপারে পিডিবি’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রতন কুমার সাহার সাথে দাপ্তরিক টিএন্ডটি নাম্বারসহ ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বার ০১৭৫৫-৫৮২৩৪০ এবং ০১৫৫২-৪২৬৬৩১ মোবাইল নাম্বারে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।