ঝড় মৌসুমে দুর্যোগ মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি নেই বিদ্যুত বিভাগের : মৌলভীবাজারে ১৫০ কিলোমিটার গ্রিড লাইন ঝুঁকিপূর্ণ

জালাল আহমদ : মৌলভীবাজার পিডিবি’র আওতাধীন জেলার ৭ উপজেলায় দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য আগাম কোনো প্রস্তুতি না থাকায় দুর্ভোগে রয়েছেন ২ লড়্গাধিক গ্রাহক। দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য সংশিস্নষ্ট দপ্তর থেকে ৫ লড়্গাধিক টাকা উত্তোলন করে লুটপাট হলেও ১৫০ কিলোমিটার লাইন রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ। মৌলভীবাজার বিদ্যুত বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের ৩৩ কেভির মৌলভীবাজার-শ্রীমঙ্গল ৩০ কিলোমিটার, মৌলভীবাজার-ফেঞ্চুগঞ্জ ৪০ কিলোমিটার, কুলাউড়া-ফেঞ্চুগঞ্জ ৫০ কিলোমিটার এবং মৌলভীবাজার-কাশিমপুর ৩০ কিলোমিটারসহ মোট ১৫০ কিলোমিটার বিদ্যুতের গ্রিড লাইন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে বছরের পর বছর থেকে। বিদ্যুত বিভ্রাটের কারণে এ জনপথের প্রায় ২ লড়্গাধিক গ্রাহক সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছেন। জাতীয় গ্রিড লাইনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ঘনঘন বিপর্যয় ঘটছে। এমন কোন দিন নেই, শহরের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়ি বিদ্যুতবিহীন থাকছে না। কোন পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ২৪ ঘন্টায় ১০/১৫ বার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করে। ‘বিদ্যুৎ যায় না মাঝে মাঝে আসে- এভাবে বার বার আসা-যাওয়ার খেলায় অনেক এলাকায় শর্ট সার্কিটে বাড়িঘর, আসবাবপত্রসহ বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি পুড়ে যাচ্ছে।
সূত্র জানায়, মৌলভীবাজার-শ্রীমঙ্গল ও মৌলভীবাজার-কাশিমপুর ৩৩ কেভির সঞ্চালন লাইনটি হাইল হাওর ও কাউয়াদীঘি হাওরের ওপর দিয়ে টানা হয়েছে। এতে বর্ষা মৌসুমে টাওয়ার প্রায় ৭-৮ ফুট কোথাও আরও বেশি পানির নিচে তলিয়ে যায়। অনেক টাওয়ার বা খুঁটির নিচের অংশ খসে পচন ধরেছে। তাছাড়া হাওরে পানি থাকায় বর্ষায় মাটি নরম হয়ে খুঁটি নড়বড়ে হয়ে যায়। সামান্য ঝড়ো হাওয়ায় খুঁটিগুলো হেলে পড়ে। কোথাও ভেঙে তার ছিঁড়ে যায়।
অপরদিকে মৌলভীবাজার-ফেঞ্চুগঞ্জ ও কুলাউড়া-ফেঞ্চুগঞ্জ লাইনটি হাওর ও পাহাড়ি এলাকা এবং সড়কও জনপথের রাস্তা দিয়ে টানা হয়েছে। ঝড়ের সময় এ লাইনের ওপর গাছপালা ভেঙে পড়ে তার ও খুঁটি ক্ষতিগস্ত হয়। প্রতি বছর লাইন সংস্কার খাতে পিডিবি’র বিাভন্ন খাত থেকে প্রকৌশলীরা ৫ লড়্গাধিক টাকার (ইমপ্রেস ভাউচার) উত্তোলন করলেও এর সিকিভাগ কাজ হয়নি লাইন সংস্কারে। উত্তোলনকৃত টাকা লুটপাট করা হয়েছে।
মৌলভীবাজার পিডিবি’র বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের ও পলস্নী বিদ্যুতের আওতাধীন রাজনগর, কুলাউড়া, বড়লেখা, জুড়ী, কমলগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, বাহুবল, হবিগঞ্জ সদর, বানিয়াচং উপজেলা এবং মৌলভীবাজার জেলা সদরে বিদ্যুত গ্রাহকরা ছাড়াও ছোট-বড় কলকারখানাগুলোকে চরম ভোগানিত্ম পোহাতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মৌলভীবাজার পিডিবি’র বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে খুঁটিতে স্থাপিত তার এলোমেলো হয়ে লাইনে ত্রম্নটি দেখা দেয়। তাই লাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আবার চালু করতে অনেক সময় লাগে। তাছাড়া লোকবল ও যানবাহন সংকট থাকায় কাজ করতে সরেজমিন লোক পাঠাতে অনেক ক্ষেত্রে বিলম্ব হয়।
এ ব্যাপারে পিডিবি’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রতন কুমার সাহার সাথে দাপ্তরিক টিএন্ডটি নাম্বারসহ ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বার ০১৭৫৫-৫৮২৩৪০ এবং ০১৫৫২-৪২৬৬৩১ মোবাইল নাম্বারে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।