মৌলভীবাজারের গোপলা নদীর উন্মুক্ত জলাশয় থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ লুট
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার হাইল হাওরের গোপলা নদীর প্রথম খন্ড উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছ বিক্রি করা আদালতের নিষেধ থাকলেও এলাকার প্রভাবশালীরা মসজিদের নামে এই জলাশয় ৮ লক্ষ টাকায় বিক্রি করার অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। আদালতের ডিক্রি সুত্রে জানা যায়, এই জলাশয়ের স্বত্ব ভোগ দখলকারী মোঃ ফয়জুল হক ও ইছাক আলীর পক্ষে গোপলা নদীর প্রথম খন্ড কাটাখালি থেকে বাইট্টারমূখ পর্যন্ত মাছ এলাকাবাসী সবাই ভোগ করবেন কিন্তু বিক্রি করা থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন আদালত। কিন্তু সুইলপুর এলাকার ইউপি সদস্য সামছুদ্দিন, জসিম, আরজান, কাসম আলী, ফেরদৌস, শিপিল ও আজাদ গংরা মসজিদের নাম করে এই জলাশয় প্রতি বছর প্রায় ৮ লক্ষ টাকায় বিক্রি করে ফেলে। তারা এই স্থানে আদালতের নির্দেশনা না মেনে মসজিদের নাম করে তাদের পকেটে নিয়ে যাচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা বলে জানান ডিক্রি প্রাপ্ত ইছাক আলী। তিনি আরো বলেন, এলাকার নিরীহ মৎসজীবিরা না খেয়ে ছেলে মেয়েদের নিয়ে দিনাতিপাত করছেন। তাদের এসব আচরনের কারনে ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করছেন অনেকেই। পুলিশ প্রশাসনের কাছে গিয়েও পাচেছন না কোন সুবিচার। প্রভাবশালীদের হামলা-মামলার মাধ্যমেই চালাচ্ছেন জীবন সংসার। ইছাক মিয়ার মেয়ের জামাই বকুল মিয়াকে একমাস পূর্বে তারা গুম করলেও আজ পর্যনত্ম তার খোজ পাওয়া যায়নি। নিখোঁজের মামলা আদালতে করার পরও শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ উদ্ধারের বিষয়ে কোন ভুমিকা রাখছেন বলে জানান তিনি। মাছ লীজ দেয়া বা বিক্রি করা থেকে প্রভাবশালীরা যদি বিরত না হয় তাহলে বড় ধরনে সংঘাতের আশংকা করছে এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল্লাহ পুলিশের বিরোদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কিছু মৎস্য জীবি উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছ ধরা নিয়ে দ্বন্দ চলছে বহুদিন ধরে। নিখোজঁ বকুলের খোজে প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। নিখোজ বকুলকে অভিলম্বেই পাওয়া যাবে। এটা তাদের সাজানো। উল্লেখ্য, গত ২০১২ সালের ২৪ আগষ্ট রাতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে মৎস্যজীবি দু’গ্রম্নপের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন গুরুতর আহত হয়েছে। সংঘর্ষের সময় হামলাকারীরা সুইলপুর গ্রামের ৭ টি বাড়ি, কয়েকশত গাছ গুড়িয়ে দিয়েছে। একই সাথে হামলায় বেশ কিছু গৃহপালিত পশুও আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়। মামলায় সবাই জামিনে রয়েছে।