কুলাউড়া হাসপাতালের ইনডোরে ঢুকে রোগীর উপর হামলা, আহত-৩
কুলাউড়া প্রতিনিধি : কুলাউড়া উপজেলা হাসপাতালের ইনডোরে ঢুকে ১৯ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে একদল সন্ত্রাসী আকস্মিক ভাবে হামলা চালায়। ইনডোরে কর্তব্যরত সিস্টার, চিকিৎসাধীন রোগী ও অন্যান্য কর্মচারীদের নিকট থেকে জানা যায় ৮-৯ জনের সন্ত্রাসী দলটি মোটরসাইকেল নিয়ে হাসপাতালে আসে এবং বিনা অনুমতিতে ইনডোরে প্রবেশ করে ২২নং বেডে চিকিৎসাধীন নাজনীন আক্তার (৩৫) কে টেনে হেচড়ে ওয়ার্ডের বাইরে নিয়ে আসে। এ সময় তার স্বামী ইছহাক মিয়া স্ত্রীকে রক্ষায় এগিয়ে এলে হামলাকারীরা তাকে বেদড়ক মারধর করে। হাসপাতালের চিকিৎসক আহত স্বামী-স্ত্রীকে মৌলভীবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। হাসপাতালের ২১নং বেডে ভিন্ন একটি ঘটনায় মারাত্মক ভাবে আহত হাবিবা বেগমের (৫) মা হাছনা বেগম জানান, হামলাকারীরা নাজনীন আক্তারের সন্তান ভেবে তার মেয়ের উপর হামলা চালায়। তিনি সন্তানকে বুকে চেপে ধরে ও রক্ষা করতে পারেন নি। ঘটনার সময় কর্তব্যরত সিস্টার রুশনা বেগম ও আফিয়া বেগম জানান, কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই সন্ত্রাসীরা ফিল্মি কায়দায় হামলা চালায়। এই ঘটনায় কর্মরত নার্স সিস্টাররা চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন। হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ কমল রতন সাহা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ রুমান আহমদ জানান, এই ইউনিয়নের ভাটুৎ গ্রাম গ্রামের দুই ভাই ইছহাক আলী (৪৫) ও ইউনুছ আলীর (৫০) মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিলো। ঘটনার দিন সকালে তাদের মধ্যে মারামারি হলে আহত নাজনীন আক্তার হাসপাতালে ভর্তি হন। উল্লেখ্য, হাসপাতালের ইনডোর বা আউটডোরে কোন সিকিউরিটি গার্ড নেই। ফলে দিনরাত ওয়ার্ডগুলিতে সাধারণ মানুষের অবাধ বিচরণ চলে। রাত্রিকালে কর্তব্যরত সিস্টাররা নার্সিং রুমের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করে ভয়ে ভয়ে রাত কাটান।