ইলিয়াস ইস্যু : বিশ্বনাথে সহিংসতার ঘটনায় রণক্ষেত্রের এক বছর আজ

মোহাম্মদ আলী শিপন, বিশ্বনাথ : বিশ্বনাথে নিখোঁজ বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর সন্ধান দাবিতে সহিংসতার ঘটনায় রণক্ষেত্রের এক বছর আজ মঙ্গলবার। নিখোঁজ বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর জন্মস্থান বিশ্বনাথে নিখোঁজের প্রতিবাদে প্রথম দফায় হরতালে দ্বিতীয় দিন গত বছরের ২৩ এপ্রিল রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। ওইদিন পুলিশ-আ’লীগ-বিএনপির ত্রিমূখি সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। এসময় গুলিবৃন্দ হয়ে মনোয়ার,সেলিম ও জাকির নামের তিন জন মারা যান। এতে পুলিশ-বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। এটা ছিল বিশ্বনাথের রাজনীতির সহিংসতার সব চেয়ে বড় ঘটনা। এর পূর্বে কখন এক সাথে তিনজন রাজনীতির কারনে মারা যাননি। ওই দিনের ঘটনা এখনও সাধারণ মানুষ কে তাড়া করছে।
যে ভাবে সংঘর্ষে সূত্রপাত : গত বছরের ২৩ এপ্রিল হরতালের দ্বিতীয় দিনে উপজেলা সদরের সব কয়টি দোকানপাঠ বন্ধ ছিল। রাস্তা-ঘাট ছিল না সম্পন্ন ফাঁকা। বেলা ২টায় উপজেলার রামপাশা এলাকা থেকে বিএনপি ও ইলিয়াস সমর্থনকারি প্রায় দুই হাজার মানুষ লাটি-সোটা নিয়ে উপজেলা সদরের আসতে থাকে। এক পর্যায়ে মিছিলটি উপজেলা সদরের নতুন বাজারস্থ আব্দুল খালিক কমিউনিটি সেন্টারের সামনে আসা মাত্রই পুলিশ বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ কে লক্ষ করে মিছিলকারিরা বৃষ্টির মত ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে শুরু করে। এসময় পুলিশ মিছিলকারিদের লক্ষ করে টিয়ারসেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এসময় মিছিলকারিরা পুলিশ কে পিছু হটতে বাধ্য করে। তখন পুলিশ মিছিলকারিদের ধাওয়া খেয়ে থানার ভিতরে চলে আসে।
অপর দিকে,একই সময়ে নিখোঁজ ইলিয়াস আলীর রামধানা নিজ গ্রাম থেকে বিএনপি ও ইলিয়াস সমর্থনকারি প্রায় তিন হাজার মানুষ মিছিল নিয়ে উপজেলা সদরের আসতে থাকে। মিছিলটি উপজেলা পরিষদের প্রায় ৫০ গজ দূরে আসা মাত্রই পুলিশ টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে। এসময় মিছিলকারিরা পুলিশ কে লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এক পর্যায়ে পুলিশ পিছু হটতে বাধ্য হয়। উভয় মিছিলকারিরা স্থানীয় বাসিয়া ব্রীজের উপরে এসে থানায় ইটপাটকেল নিক্ষোপ করে। এক পর্যায়ে পুলিশ থানা থেকে টিয়ারসেল ও কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে। পরে বিক্ষোভকারিরা উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরে অগ্নিসংযোগ ও কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুণ ধরিয়ে দেয় এবং ইউএন’র বাসার ভিতরে প্রবেশ করে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় পুলিশের একটি সটগান ও একটি ওয়াকিটকি খোয়া যায়। ঘটনার এক সপ্তাহে পরে একটি করব স্থান থেকে পরিক্ত্যত অবস্থায় পুলিশ সটগান উদ্ধার করলেও আজও ওয়াকিটকি উদ্ধার করতে পারেনি। খবর পেয়ে সিলেট শহর থেকে বিপুল সংখ্যক র্যাব ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। ঘটনার পরপরই পুলিশ র্যাব গণ গ্রেফতার শুরু করে। এসময় প্রায় বিএনপির ১৫ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে। ঘটনারপর দিন উপজেলা সদরের বিজিপি মোতায়েন করা হয়। এক সপ্তাহ বিজিপি উপজেলা সদরে অবস্থান করার পর পরে প্রত্যাহার করা হয়।
গুলিবিদ্ধ ছাত্রদল সাহেল সামাদ : গত বছরের ২৩ এপ্রিল বিকেল ২টায় জনতার মিছিল যখন বাসিয়া ব্রীজে পৌছে তখন আওয়ামী লীগ-পুলিশের সাথে মিছিলকারীদের তুমুল সংর্ঘষ বাধে। তখন তার অবস্থান ছিলো মিছিলের সম্মুখ ভাগে। এক পর্যায়ে তার পাশেই যুবদল কর্মী নিহত জাকির হুসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে মাঠিতে লুঠিয়ে পড়েন। তুবও পিছ পা হননি তিনি। এর কিছিুক্ষণের মধ্যেই তিনিও গুলিবিদ্ধ হন। বুকের বাম পাশে গুলিবিদ্ধ হন সাহেল। প্রচুর রক্ত প্রবাহে অচেতন অবস্থায় রাস্তার পাশে পড়ে থাকেন তিনি। সংঘর্ষ থামলে পথচারী দুই সাহসী কিশোর টেনে হিচঁড়ে রিকশায় উপজেলা স্বাস্থ্যকমপেকা্র-এ নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রথমে তাকে মৃত ঘোষণা করলেও পরে মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। দু’দফা বুকে অস্ত্রপাচারের পর কিছুটা স্বাভাবিক হন তিনি। এরপর মরণাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালের বেডে তাকে হাতকড়া পরায় পুলিশ। আসামি করা হয় সাতটি রাজনৈতিক মামলায়। পুলিশ প্রহরায় এক মাস ১৭দিন চিকিৎসা নেয়ার পর সুস্থ হওয়ায় পূর্বেই তাকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়। গুলিতে ক্ষত-বিক্ষত বুকের তীব্র যন্ত্রনা নিয়ে দীর্ঘ ১ মাস ২০ দিন কারাভোগের পর গত বছরের ১৯ জুলাই জামিনে মুক্তি লাভ করেন তিনি। বর্তমানে তিনি ইলিয়াস আলীর সন্ধান দাবিতে সকল কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করতে দেখা যায়।
এব্যাপারে সাহেল সামাদ বলেন, ইলিয়াস আলীর জন্যে হাতের মুঠোয় প্রাণ নিয়েছি। এত কষ্ট, দূর্বিসহ দু:খ যন্ত্রনায় আমার কষ্ট নেই। এটুকুতেই শুধূ দুঃখ এখনও প্রিয় নেতার সন্ধান পাইনি।
যে ভাবে মামলা হল : গত বছরের ২৩ এপ্রিল রাতে পুলিশ ও উপজেলা সাবেক ভারপ্রাপ্ত নিবার্হী কর্মকর্তা কামাল হোসেন বাদি হয়ে দ্রুত বিচার আইনে দুটি পৃথক মামলা দায়ের করেন। এতে বিএনপি ও জামায়াতপন্থী আট ইউপি চেয়ারম্যান কে আসামী করে অজ্ঞাত আট হাজার বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মী কে আসামী করা হয়। ঘটনার পরে ইউএন’র গাড়ি চালক বাদি হয়ে বিএনপি ও জামায়াতের তিন হাজার নেতাকর্মী কে অজ্ঞাত রেখে আরোও একটি মামলা করেন। আর এস মামলায় বিএনপি, জামায়াত,সাধারণ মানুষসহ প্রায় দুইশত লোক কারাভোগ করেন।
মামলার বেড়া জালে বন্ধি : গত বছরের ২২-২৩ এপ্রিল সহিংসতার ঘটনায় পুলিশ-উপজেলা প্রশাসন বাদি হয়ে ছয়টি মামলা দায়ের করে। এতে প্রায় ১১ হাজার বিএনপি-জামায়াতসহ সাধারণ মানুষকে আসামি করা হয়। মামলার পরপরই গ্রেফতার আতংকে পালিয়ে বেড়ান বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীসহ এলাকার সাধারণ মানুষ। প্রায় দুই মাস উপজেলা কয়েকটি গ্রামে পুরুষ শূণ্য হয়ে পড়ে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসার পর লোকজন বাড়ি ফিরেন। কিন্তু ছয় মামলার মধ্যে দুটি মামলার অভিযোগ পত্র পুলিশ আদালতে দাখিল করলে বাকি অভিযোগপত্র কবে দাখিল করা হবে বলা মুশকিল। বর্তমানে বিএনপির নেতাকর্মী সপ্তাহে চার দিন আদালতে হাজিরা দিতে হয়।
পুলিশের গ্রেফতার অভিযান : মামলা দায়েরের পরপরই পুলিশ ও র্যাব গণ গ্রেফতার শুরু করে। এতে প্রায় বিএনপিপন্থী দুই ইউপি চেয়ারম্যান-জামায়াত ও সাধারন মানুষসহ প্রায় ৯০ জনকে গ্রেফতার করে। দিনরাত পুলিশ ও র্যাব অভিযান চলতে থাকে। পুলিশ ও র্যাবের অবস্থান দেখে সাধারন মানুষের মধ্যে গ্রেফতার আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এখনও এসব মামলায় গ্রেফতার করে আসছে পুলিশ।
ইলিয়াস ইস্যু :
বিশ্বনাথে সহিংসতার ঘটনায়
রণক্ষেত্রের এক বছর আজ
মোহাম্মদ আলী শিপন, বিশ্বনাথ : বিশ্বনাথে নিখোঁজ বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর সন্ধান দাবিতে সহিংসতার ঘটনায় রণক্ষেত্রের এক বছর আজ মঙ্গলবার। নিখোঁজ বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর জন্মস্থান বিশ্বনাথে নিখোঁজের প্রতিবাদে প্রথম দফায় হরতালে দ্বিতীয় দিন গত বছরের ২৩ এপ্রিল রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। ওইদিন পুলিশ-আ’লীগ-বিএনপির ত্রিমূখি সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। এসময় গুলিবৃন্দ হয়ে মনোয়ার,সেলিম ও জাকির নামের তিন জন মারা যান। এতে পুলিশ-বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। এটা ছিল বিশ্বনাথের রাজনীতির সহিংসতার সব চেয়ে বড় ঘটনা। এর পূর্বে কখন এক সাথে তিনজন রাজনীতির কারনে মারা যাননি। ওই দিনের ঘটনা এখনও সাধারণ মানুষ কে তাড়া করছে।
যে ভাবে সংঘর্ষে সূত্রপাত : গত বছরের ২৩ এপ্রিল হরতালের দ্বিতীয় দিনে উপজেলা সদরের সব কয়টি দোকানপাঠ বন্ধ ছিল। রাস্তা-ঘাট ছিল না সম্পন্ন ফাঁকা। বেলা ২টায় উপজেলার রামপাশা এলাকা থেকে বিএনপি ও ইলিয়াস সমর্থনকারি প্রায় দুই হাজার মানুষ লাটি-সোটা নিয়ে উপজেলা সদরের আসতে থাকে। এক পর্যায়ে মিছিলটি উপজেলা সদরের নতুন বাজারস্থ আব্দুল খালিক কমিউনিটি সেন্টারের সামনে আসা মাত্রই পুলিশ বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ কে লক্ষ করে মিছিলকারিরা বৃষ্টির মত ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে শুরু করে। এসময় পুলিশ মিছিলকারিদের লক্ষ করে টিয়ারসেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এসময় মিছিলকারিরা পুলিশ কে পিছু হটতে বাধ্য করে। তখন পুলিশ মিছিলকারিদের ধাওয়া খেয়ে থানার ভিতরে চলে আসে।
অপর দিকে,একই সময়ে নিখোঁজ ইলিয়াস আলীর রামধানা নিজ গ্রাম থেকে বিএনপি ও ইলিয়াস সমর্থনকারি প্রায় তিন হাজার মানুষ মিছিল নিয়ে উপজেলা সদরের আসতে থাকে। মিছিলটি উপজেলা পরিষদের প্রায় ৫০ গজ দূরে আসা মাত্রই পুলিশ টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে। এসময় মিছিলকারিরা পুলিশ কে লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এক পর্যায়ে পুলিশ পিছু হটতে বাধ্য হয়। উভয় মিছিলকারিরা স্থানীয় বাসিয়া ব্রীজের উপরে এসে থানায় ইটপাটকেল নিক্ষোপ করে। এক পর্যায়ে পুলিশ থানা থেকে টিয়ারসেল ও কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে। পরে বিক্ষোভকারিরা উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরে অগ্নিসংযোগ ও কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুণ ধরিয়ে দেয় এবং ইউএন’র বাসার ভিতরে প্রবেশ করে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় পুলিশের একটি সটগান ও একটি ওয়াকিটকি খোয়া যায়। ঘটনার এক সপ্তাহে পরে একটি করব স্থান থেকে পরিক্ত্যত অবস্থায় পুলিশ সটগান উদ্ধার করলেও আজও ওয়াকিটকি উদ্ধার করতে পারেনি। খবর পেয়ে সিলেট শহর থেকে বিপুল সংখ্যক র্যাব ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। ঘটনার পরপরই পুলিশ র্যাব গণ গ্রেফতার শুরু করে। এসময় প্রায় বিএনপির ১৫ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে। ঘটনারপর দিন উপজেলা সদরের বিজিপি মোতায়েন করা হয়। এক সপ্তাহ বিজিপি উপজেলা সদরে অবস্থান করার পর পরে প্রত্যাহার করা হয়।
গুলিবিদ্ধ ছাত্রদল সাহেল সামাদ : গত বছরের ২৩ এপ্রিল বিকেল ২টায় জনতার মিছিল যখন বাসিয়া ব্রীজে পৌছে তখন আওয়ামী লীগ-পুলিশের সাথে মিছিলকারীদের তুমুল সংর্ঘষ বাধে। তখন তার অবস্থান ছিলো মিছিলের সম্মুখ ভাগে। এক পর্যায়ে তার পাশেই যুবদল কর্মী নিহত জাকির হুসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে মাঠিতে লুঠিয়ে পড়েন। তুবও পিছ পা হননি তিনি। এর কিছিুক্ষণের মধ্যেই তিনিও গুলিবিদ্ধ হন। বুকের বাম পাশে গুলিবিদ্ধ হন সাহেল। প্রচুর রক্ত প্রবাহে অচেতন অবস্থায় রাস্তার পাশে পড়ে থাকেন তিনি। সংঘর্ষ থামলে পথচারী দুই সাহসী কিশোর টেনে হিচঁড়ে রিকশায় উপজেলা স্বাস্থ্যকমপেকা্র-এ নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রথমে তাকে মৃত ঘোষণা করলেও পরে মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। দু’দফা বুকে অস্ত্রপাচারের পর কিছুটা স্বাভাবিক হন তিনি। এরপর মরণাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালের বেডে তাকে হাতকড়া পরায় পুলিশ। আসামি করা হয় সাতটি রাজনৈতিক মামলায়। পুলিশ প্রহরায় এক মাস ১৭দিন চিকিৎসা নেয়ার পর সুস্থ হওয়ায় পূর্বেই তাকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়। গুলিতে ক্ষত-বিক্ষত বুকের তীব্র যন্ত্রনা নিয়ে দীর্ঘ ১ মাস ২০ দিন কারাভোগের পর গত বছরের ১৯ জুলাই জামিনে মুক্তি লাভ করেন তিনি। বর্তমানে তিনি ইলিয়াস আলীর সন্ধান দাবিতে সকল কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করতে দেখা যায়।
এব্যাপারে সাহেল সামাদ বলেন, ইলিয়াস আলীর জন্যে হাতের মুঠোয় প্রাণ নিয়েছি। এত কষ্ট, দূর্বিসহ দু:খ যন্ত্রনায় আমার কষ্ট নেই। এটুকুতেই শুধূ দুঃখ এখনও প্রিয় নেতার সন্ধান পাইনি।
যে ভাবে মামলা হল : গত বছরের ২৩ এপ্রিল রাতে পুলিশ ও উপজেলা সাবেক ভারপ্রাপ্ত নিবার্হী কর্মকর্তা কামাল হোসেন বাদি হয়ে দ্রুত বিচার আইনে দুটি পৃথক মামলা দায়ের করেন। এতে বিএনপি ও জামায়াতপন্থী আট ইউপি চেয়ারম্যান কে আসামী করে অজ্ঞাত আট হাজার বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মী কে আসামী করা হয়। ঘটনার পরে ইউএন’র গাড়ি চালক বাদি হয়ে বিএনপি ও জামায়াতের তিন হাজার নেতাকর্মী কে অজ্ঞাত রেখে আরোও একটি মামলা করেন। আর এস মামলায় বিএনপি, জামায়াত,সাধারণ মানুষসহ প্রায় দুইশত লোক কারাভোগ করেন।
মামলার বেড়া জালে বন্ধি : গত বছরের ২২-২৩ এপ্রিল সহিংসতার ঘটনায় পুলিশ-উপজেলা প্রশাসন বাদি হয়ে ছয়টি মামলা দায়ের করে। এতে প্রায় ১১ হাজার বিএনপি-জামায়াতসহ সাধারণ মানুষকে আসামি করা হয়। মামলার পরপরই গ্রেফতার আতংকে পালিয়ে বেড়ান বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীসহ এলাকার সাধারণ মানুষ। প্রায় দুই মাস উপজেলা কয়েকটি গ্রামে পুরুষ শূণ্য হয়ে পড়ে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসার পর লোকজন বাড়ি ফিরেন। কিন্তু ছয় মামলার মধ্যে দুটি মামলার অভিযোগ পত্র পুলিশ আদালতে দাখিল করলে বাকি অভিযোগপত্র কবে দাখিল করা হবে বলা মুশকিল। বর্তমানে বিএনপির নেতাকর্মী সপ্তাহে চার দিন আদালতে হাজিরা দিতে হয়।
পুলিশের গ্রেফতার অভিযান : মামলা দায়েরের পরপরই পুলিশ ও র্যাব গণ গ্রেফতার শুরু করে। এতে প্রায় বিএনপিপন্থী দুই ইউপি চেয়ারম্যান-জামায়াত ও সাধারন মানুষসহ প্রায় ৯০ জনকে গ্রেফতার করে। দিনরাত পুলিশ ও র্যাব অভিযান চলতে থাকে। পুলিশ ও র্যাবের অবস্থান দেখে সাধারন মানুষের মধ্যে গ্রেফতার আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এখনও এসব মামলায় গ্রেফতার করে আসছে পুলিশ।