আরও ৪০ জনকে জীবিত উদ্ধার

ডেস্ক রিপোর্ট : সাভারে ধসে পড়া রানা প্লাজার চার ও পাঁচ তলা থেকে ৪০ জন শ্রমিককে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে সাতটা থেকে ৮টা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালিয়ে এই ৪০ জনকে উদ্ধার করে সেনাবাহিনী, দমকল বাহিনী, পুলিশসহ স্বেচ্ছাসেবীদের সমন্বিত উদ্ধারকারী দল।
উদ্ধারকৃতদের নিকটস্থ হাসপাতালগুলোতে ভর্তি করা হচ্ছে।
বুধবার রাতে উদ্ধার অভিযান কিছুটা ধীরগতির হলেও বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই ব্যাপক আকারে অভিযান শুরু করা হয়।
এসময় উদ্ধারকারী দলের সদ্যস্য রবিউল ইসলাম গুরুতর আহত হন।
উদ্ধারকারী আরেক সদস্য আমির হোসেন বাংলানিউজকে জানান, সকাল সাড়ে সাতটা থেকে আটটা পর্যন্ত চার ও পাঁচ তলার গার্ডার সরিয়ে গার্মেন্ট সুপার ভাইজারসহ ৪০ জনকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আর ও জানান, ভিতরে ধোয়া, অন্ধকার, অক্সিজেনের অভাব। ভেতরে আরও বহু আহত লোক আছে কিন্তু তাদের উদ্ধার করা যাচ্ছে না।
এছাড়া ধসে পড়া দেয়ালের স্তরের কারণেও অনেককে উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান তিনি।
আমির হোসেন এসময় ভিতরে আলো ও অক্সিজেন সরবরাহের কথাও বলেন।
তিনি বলেন, “ভিতরে যত অক্সিজেন ও আলো সরবরাহ করা যাবে জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা তত বেশি থাকবে।”
বুধবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডের পাশে রানা প্লাজা নামের বহুতল ভবনটি ধসে পড়ে। ভবনটির মালিক স্থানীয় যুবলীগ নেতা সোহেল রানা স্তুপের নিচে আটকে ছিলেন। পরে তাকে উদ্ধার করা হলে তিনি পুলিশের সহায়তায় এলাকা ত্যাগ করেন। তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
রানা প্লাজার প্রথম ও দ্বিতীয় বিপণী বিতান এবং তৃতীয় থেকে অষ্টম তলা পর্যন্ত পোশাক কারখানা। এসব ফ্লোরে পাঁচটি কারখানায় কয়েক হাজার শ্রমিক কাজ করতেন। নবম তলার নির্মাণ কাজ চলছিল।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত এ ভবন ধসের ঘটনায় ১৫৩জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ১০২জনকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।