তিন ব্রিটিশ জঙ্গীর কারাদণ্ড, বাংলাদেশি একজন

নাজমুল হোসেন, মিলান থেকে : সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রস্তুতিতে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে তিন ব্রিটিশকে কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত। এদের মধ্যে একজন সাদা চামড়ার ধর্মান্তরিত মুসলিম এবং পুলিশের সাবেক এক কম্যুনিটি সাপোর্ট অফিসারও রয়েছেন।
জানা গেছে, রিচার্ড ডার্ট নামের একজনকে ৬ বছরের, ইমরান মাহমুদকে ৯ মাসের এবং জাহাঙ্গীর আলমকে ৪ বছর ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সাজা ঘোষণার সময় ডার্ট দাঁড়িয়ে থাকতে অস্বীকার করেন এবং বলেন, আমি বিশ্বাস করি, আদেশ এবং বিচারের ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর।ওয়েস্ট লন্ডনের ব্রডওয়ে, ইলিং এলাকায় ডার্ট (৩০) এবং ডাবস হিল লেন, নরথোল্টে মাহমুদ (২২) বাস করতেন। এদের দু’জনই ব্রিটেনে জন্মগ্রহণ করেছেন।
তবে অপর সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি জাহাঙ্গীর আলম জন্মসূত্রে বাংলাদেশী এবং বর্তমানে ব্রিটিশ নাগরি বিচারক সিমন তাদেরকে বলেন, তারা রেডিক্যাল ইসলামিস্টে বিশ্বাসী বলে প্রমাণিত। তারা যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিল, সেটিও আদালতে প্রমাণিত হয়েছে বলে তিনি জানান।
এদের সকলেই ‘সংকল্পবদ্ধ মৌলবাদী’ যারা হত্যার প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে তিনি দাবি করেন।মাহমুদ এবং ডার্টকে এক্সটেন্ডেট সেনটেন্স দেয়া হয়েছে। এর অর্থ হলো, তাদেরকে সাজার মেয়াদের দুই-তৃতীয়াংশ কারাগারে কাটাতে হবে। অন্যদের কাটাতে হয় অর্ধেক। আদালতের শুনানিতে জানা যায়, সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণ নিতে ডার্ট এবং জাহাঙ্গীর আলম পাকিস্তানে ভ্রমণ করেছেন এবং এক্ষেত্রে মাহমুদ তাদেরকে পরামর্শ দিয়েছেন। মাহমুদ এর আগেই পাকিস্তান থেকে ঘুরে এসেছেন বলে জানা যায়।
বিবিসির সাবেক সিকিউরিটি গার্ড ডার্ট (ধর্মান্তরিত হয়ে তিনি তার নাম দেন সালাহুদ্দিন আল ব্রিটেনি) বোমা বানানো সম্পর্কে মাহমুদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন এবং উটন ব্যাসেট শহরকে সম্ভাব্য হামলার টার্গেট হিসেবে নির্ধারণ করেছেন।বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত জাহাঙ্গীর আলমের ব্যাপারে জানা যায়, তিনি ২০০৬ সালে টেরিটোরিয়াল আর্মিতে যোগ দেন। কিন্তু চিকিৎসাজনিত কারণ দেখিয়ে তিনি তার প্রশিক্ষণ পর্ব শেষ করেননি। পরের বছর তিনি পিসিএএসও হন। কিন্তু পরে ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে চাকুরি ছেড়ে দেন।