তবে ভবনের ধ্বংসস্তুপের ভিতর এখনো বহু মানুষ জীবিত রয়েছে। ভেতর থেকে এখনো বাঁচার আকুতি শোনা যাচ্ছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে বহু মৃতদেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। জীবিত মানুষের আর্তনাদ শুনতে পাওয়ার কারনে সকল প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার মুখার্জী জানান, যতক্ষণ পর্যন্ত জীবিত মানুষের অস্তিত্ব পাওয়া যাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে উদ্ধার অভিযান চলবে।
উদ্ধারকাজে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কংক্রিট কেটে সুড়ঙ্গ করে সেখান থেকে আটকে পড়া জীবিত মানুষদের বের করে আনার জন্য প্রাণান্ত চেষ্টা চলবে। শুক্রবার রাত থেকে এরকম তিনটি পৃথক খুপরির সন্ধান পেয়েছে উদ্ধারকর্মীরা।
উদ্ধারকর্মীদের ধারণা যেখানে সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ হতে ৬০ জন মানুষ এখনো আটকে আছেন। সেনা কর্মকর্তারা বলছেন, যাদের শনাক্ত করা গেছে তাদের কাছে একটি সরু ছিদ্রপথে টর্চলাইট এবং ছোট ছোট অঙিজেন সিলিন্ডার পাঠানো হয়েছে।
শনিবার সকাল থেকে উদ্ধার কাজের সুবিধার্থে রানা প্লাজার চার দিকের ৫শ’ গজের মধ্যে অবস্থানরত সাধারণ মানুষকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় আইএসপিআরের পরিচালক শাহিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছে, ‘শনিবার উদ্ধার কাজ আরও ব্যাপকভাবে চলবে। সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে ৩টি সংস্থা উদ্ধার কাজ চালাবে। এর সঙ্গে থাকবে ফায়ার সার্ভিস, রেড ক্রিসেন্ট ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কমিউনিটি স্বেচ্ছাসেবকরা।
তিনি উদ্ধার কাজের সুবিধার্থে সাধারণ মানুষকে ধসে যাওয়া ভবন থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানান।
এদিকে শনিবার সকাল ১১ টায় সর্বশেষ লাশের মিছিলে যুক্ত হয়েছে ৩৪০ জন হতভাগ্য গার্মেন্টস শ্রমিক। এদের মধ্যে ৩২৭ টি লাশ নিহতের পরিবার ও আত্নীর স্বজনের কাছে হস্তান্তার করা হয়েছে।
তবে এখনো বহু মানুষ নিঁখোজ রয়েছে। সাভার অধর চন্দ্র স্কুল মাঠে আরো ১৩টি লাশ পরিবারের হাতে হস্তান্তর করার জন্য অপেক্ষা করছে বলে নিশ্চিত করেন আইএসপিআরের কর্মকর্তারা।