বড়লেখায় স্বামীর পরকীয়ায় বাঁধা দেওয়ায় স্ত্রীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন
বড়লেখা প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের বড়লেখায় স্বামীর পরকীয়ায় বাঁধা দেওয়ায় ৩ সন্তানের জননী স্ত্রীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করেছে স্বামী। এ ঘটনায় নির্যাতিতা বাদী হয়ে বড়লেখা থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের খুটাউরা গ্রামে। পরকীয়ায় বাঁধা দেওয়ায় স্ত্রীর গোপনাঙ্গে ধারালো চুরি দিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে মরিচের গুঁড়ো ঢেলে দিয়েছে পাষ- স্বামী। পুলিশ ঘটনার কাজে ব্যবহৃত আলামতও উদ্ধার করেছে। থানায় দেয়া মামলার এজাহার, থানা পুলিশ, হাসপাতাল কর্তৃপড়্গ এবং এলাকাবাসী সূত্র জানায়, উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের খুটাউরা গ্রামের ৩ সন্তানের জনক জালাল মিয়া (৪০) বিগত কয়েক বছর থেকে ঘরে বিবাহিত স্ত্রী রেখেও পরকীয়ায় লিপ্ত হয়ে পড়েন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রতিনিয়ত ঝগড়া হত। স্বামীর পরকীয়ায় বাঁধা দেওয়াটা কাল হয়ে দাঁড়ায় স্ত্রী সোহাদার। গত ১৬ এপ্রিল রাত ১০ টায় স্বামী জালাল মিয়া তার স্ত্রী সোহাদা বেগম (৩৫) কে ঘুমন্ত অবস্থায় ধারালো চুির দিয়ে তার গোপনাঙ্গ ড়্গত-বিড়্গত করে দেয়। এমন কাজ করেও ড়্গান্ত হয়নি পাষ- স্বামী। পরে স্ত্রীর গোপনাঙ্গে মরিচের গুঁড়ো ঢেলে দেয়। নির্যাতিত সোহাদার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে যান। তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে ওইদিন রাতে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে ভর্তি করান। হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে ঘটনার প্রায় ৬ দিন পর গত ২১ এপ্রিল বড়লেখা থানায় স্বামী জালাল মিয়াকে প্রধান আসামী করে মামলা (নং-১৩) করেন নির্যাতিতা সোহাদা।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বড়লেখা থানার এসআই সিদ্দিকুল ইসলাম শুক্রবার বিকেল ৩টায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নির্যাতিতা স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দিলে পুলিশ নির্যাতনে ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার করেছে। আসামী পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।