জুড়ীর ফুলতলা সীমান্ত চোরাচালানের নিরাপদ রোড

জুড়ী প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ফুলতলা সীমান্ত চোরাচালানের নিরাপদ রোডে পরিনত হয়েছে। স্থানীয় বিজিবি ও কাষ্টমস সদস্যদের সাথে গোপন আতাতে চোরাচালানীরা প্রতিদিন চোরাই পথে এদেশ থেকে পাঠাচ্ছে ইলিশ, দামী কাপড় ও ইলেক্ট্রনিক দ্রব্য। আর বিনিময়ে নিয়ে আসছে মাদকদ্রব্য, বিষ্ফোরক ও অস্ত্র। মাঝে মধ্যে বিজিবি লোক দেখানো অভিযান চালিয়ে দুই/একটি চালান আটক করলেও পরিত্যাক্ত অবস্থায় উদ্ধার দেখিয়ে চোরাচালানিদের রক্ষা করে। অভিযোগ রয়েছে ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিজিবি সাড়ে চার হাজার কেজি ইলিশ আটককালে ইলিশবাহী ট্রাকের ড্রাইভার, হেল্পার ও পাচারকারীর এক সদস্যকে হাতেনাতে পেয়েও বিজিবি ছেড়ে দেয়। অনুসন্ধানে জানা গেছে, সীমান্তের সকল চোরাচালান নিয়ন্ত্রন করে মঈন উদ্দিন নামে এক ইউপি সদস্য এবং আব্দুল খালিক নামে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি। এরা সার্বক্ষনিক স্থানীয় বিজিবির সাথে আতাত করে পাচার কাজ চালায়। বৃহস্পতিবার বিজিবি ক্যাম্পে উপস্থিত হয়ে মঈন উদ্দিন ইলিশ পাচারকারী সদস্য, ট্রাকের ড্রাইভার ও হেল্পারকে ছাড়িয়ে নেয় বলে সুত্র নিশ্চিত করেছে। গতকাল ২৬ এপ্রিল শুক্রবার ভোরে বিজিবির সদস্যরা রাঘনা-বটুলী ইমিগ্রেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে ১৩৭ বোতল ফেনসিডিল, হুইসকিসহ বিভিন্ন প্রকার নেশা জাতীয় মাদক দ্রব্য উদ্ধার করেছে বলে সাংবাদিকদের জানান বিজিবির ফুলতলা কোম্পানী কামান্ডার সুবেদার শাহজাহান। প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, বিপুল পরিমান মাদক দ্রব্যসহ এক চোরাচালানিকে আটক করে বিজিবি। ঘন্টা খানেক দর কষাকষির পর ১৩৭ বোতল মাদক রেখে অবশিষ্ট মাদ্রকসহ ওই চোরাচালানিকে ছেড়ে দেয় বিজিবি। বিজিবির ফুলতলা কোম্পানী কামান্ডার সুবেদার শাহজাহান গোপন আতাতে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে জানান একজন মাদক ব্যবসায়ী ফেনসিডিল নিয়ে আসছে এমন খবর পেয়ে তাকে ধাওয়া করলে সে ফেনসিডিল ফেলে ভারতের দিকে পালিয়ে যায়। ইউপি সদস্য মঈন উদ্দিন চোরাচালানীদের সর্দার শুনেছেন স্বীকার করলেও তার সাথে আতাতের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।