সিলেটসহ চার সিটি কর্পোরেশনে ভোট ১৫ জুন

ডেস্ক রিপোর্ট :সিলেট, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নতুন মেয়র নির্বাচনে আগামী ১৫ জুন ভোট হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ সোমবার এই নির্বাচনের বিস্তারিত সময়সূচি ঘোষণা করেন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে অংশ নিতে ১২ মে পর্যন্ত মনোনয়পত্র দাখিল করা যাবে। মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই হবে ১৫ ও ১৬ মে। আর মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে হবে ২৬ মের মধ্যে।
রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়াদ সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে শেষ হচ্ছে। আইন অনুযায়ী মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে নতুন জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট আয়োজনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
এই চার সিটি কর্পোরেশনের সর্বশেষ নির্বাচন হয় ২০০৮ সালের ৮ অগাস্ট।
কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, প্রতিটি সিটির একটি করে সাধারণ ওয়ার্ডে এবার ইলেট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে। এক্ষত্রে কোন ওয়ার্ডের কতোটি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার হবে, তা সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা ঠিক করবেন।
এ নির্বাচনে রাজশাহীর রিটানিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকবেন বিভাগের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা। আর সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা থাকবেন রাজশাহী, পাবনা ও নাটোরের জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা।
একইভাবে খুলনায় রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকবেন বরিশাল বিভাগের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং কুষ্টিয়া, বাগেরহাট ও চুয়াডাঙ্গার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা হবেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা।
বরিশালের রিটার্নিং কর্মকর্তা থাকবেন খুলনা বিভাগের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হবেন খুলনা, বরিশাল ও ঝালকাঠির জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা।
এছাড়া সিলেটে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকবেন সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে থাকবেন সিলেট, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের জেলা কর্মকর্তা।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনে ৩০টি সাধারণ ও ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৮৬ হাজার ৯২৭ জন।
খুলনায় সাধারণ ওয়ার্ড ৩১ এবং সংরক্ষিত ১০টি। ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৪০ হাজার ৬৪৭ জন।
বরিশাল সিটিতে ৩০টি সাধারণ ও ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মোট ভোটার ২ লাখ ১০ হাজার ৫৩০ জন।
আর সিলেটে সাধারণ ওয়ার্ড ২৭টি, সংরক্ষিত ৯টি। মোট ভোটার ২ লাখ ৯১ হাজার ৫৭ জন।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান, নতুন এ সিটি কর্পোরেশনের গেজেট জারি হয়েছে, সীমানা বিন্যাসের কাজও শেষ হয়েছে। এখনো ভোটার তালিকার সিডি তৈরি হয়নি। তালিকা সংশোধনের পর তফসিল ঘোষণা করা হবে।
চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।