কুলাউড়া হাসপাতালে চিকিৎসধীন অবস্থায় মামলা দায়ের : জুড়ীতে যৌতুকের লোভে স্ত্রী সন্তানকে নির্যাতন করে তাড়িয়ে দিলো স্বামী

কুলাউড়া প্রতিনিধি : মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলায় যৌতুক লোভী স্বামী দু’দফা নির্যাতন করে সন্তানসহ তাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্যাতিতা গৃহবধু কুলাউড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় জুড়ী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে জুড়ী থানা পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী মুহিবুর রহমান (৩০) কে গ্রেফতার করেছে। কুলাউড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গৃহবধু ফখরেজ জাহান মনি (২৪) জানান, ২০১০সালের ৪ নভেম্বর পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের বাছিরপুর গ্রামের মুহিবুর রহমানের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় টিভি ফ্রিজসহ ৫লাখ টাকার মালামাল দেয়া হয়। বিয়ে পর থেকে যৌতুকের লোভে তার স্বামী মুহিবুর রহমান কারণে অকারণে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন। বিদেশ যাবার কথা বলে বাবার বাড়ি থেকে ৫০ হাজার টাকার আনার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। গত বছর অর্থাৎ ২০১২ সালে ২৯ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফা নির্যাতন করেন। শুধু গৃহবধু মনি নন নির্যাতনের শিকার হয় তার দেড় বছরের শিশু কন্যা মিমও। বিষয়টি পশ্চিম জুড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মঈন উদ্দিন মইজন নিস্পত্তি করে দেন এবং পরবর্তীতে নির্যাতন করবে না বলে মুচলেকা দেয়। গৃহবধু ফখরেজ জাহান মনির জুড়ী থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ থেকে জানা যায়, পুনরায় টাকা দাবি করে গত ২৮ এপ্রিল গৃহবধুর স্বামী মুহিবুর রহমান ও ভাসুর আতিকুর রহমান লাঠি দিয়ে পিটিয়ে সন্তানসহ বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। আহত অবস্থায় গৃহবধুকে তার আত্মীয় স্বজনরা কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। এদিকে গৃহবধু ফখরেজ জাহান মনি ২৮ এপ্রিল রোববার রাত পৌনে ১১টায় জুড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলে রাতেই পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী মুহিবুর রহমানকে আটক করে। জুড়ী থানার এসআই মোঃ নাজমুল হক জানান, গতকাল ২৯ এপ্রিল সোমবার আটক মুহিবুর রহমানকে মৌলভীবাজার আদালতে প্রেরণ করা হয়।