খালেদা জিয়াকে আলোচনার প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সংকট নিরসনে বিরোধীদলীয় নেত্রীকে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আলোচনার মাধ্যমেই যে কোন সমস্যার সমাধান দেয়া সম্ভব।
বৃহস্পতিবার সকালে গণভবনে অনুষ্ঠিত ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি বিরোধীদলীয় নেত্রীকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবানে সাড়া দিয়ে ২রা মে’র হরতাল প্রত্যাহার করার জন্য বিরোধীদলীয় নেত্রীকে ধন্যবাদ জানানোর পর থেকেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটা ইতিবাচক ধারা বইছিল। এরই ফলশ্রুতিতে আলোচনার এই প্রস্তাব আসলো।
বিরোধীদলীয় নেত্রীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আলোচনা হতে পারে সংসদের ভেতরে অথবা আপনারা যেখানেই আলোচনায় বসতে চান, আমরা সেখানেই বসতে রাজি।
শেখ হাসিনা বলেন, এ ব্যাপারে পার্লামেন্ট সবচেয়ে ভালো এবং নিরপেক্ষ জায়গা। সেখানে আলোচনা হতে পারে অথবা আপনারা যেখানেই আলোচনায় বসতে চান, আমরা সেখানেই বসতে রাজি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে হরতাল প্রত্যাহারের জন্য বিরোধীদলের নেতাকে ধন্যবাদ জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের কল্যাণে আওয়ামী লীগ যে কাজ করে যাচ্ছে তা অব্যাহত থাকবে। গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থায় ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার জন্য সবার সহযোগিতাও চান তিনি।
নারায়ণগঞ্জে খালেদা জিয়ার বক্তব্যের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ গুমের রাজনীতি করে না। সাভারের ঘটনা নিয়ে খালেদা জিয়া যে বক্তব্য দিয়েছেন তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
মতবিনিময় সভায় বিরোধীদলীয় নেতাকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনি সংসদে আসুন। সংসদে এখন প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার ও বিরোধী দলীয় নেতা তিন জনই মহিলা। সংসদে আসুন আমরা তিনজনে মিলে একসঙ্গে ছবি তুলি।