মৌলভীবাজারে হেলে পড়েছে পাঁচতলা বিশিষ্ট কয়েকটি ভবন: পৌর প্রশাসনের উদাসীনতা : একটি ভবন সিলগালা

জালাল আহমদ : মৌলভীবাজার শহরের চুবড়া রোডে খান মঞ্জিল, শ্রীমঙ্গল সড়কের হোসেন মঞ্জিল ও একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ফাটল দেখা দিয়েছে। ফাটল দেখা দেয়ায় চরম আতংকে রয়েছেন পৌরবাসী। খান মঞ্জিল নামক একটি ৫ তলা ভবন হেলে পড়েছে। বাড়ির লোকজনকে সরিয়ে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে সিলগালা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। ভবনের ভাড়াঢিয়ারা জানান, কিছুদিন আগে ৫ তলা এই ভবনটি পশ্চিম দিকে কিছুটা হেলে থাকতে দেখেন তারা। এরপর ভবনটির বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিলে গত শনিবার দুপুরে তারা পৌর ও উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করেন। খবর পেয়ে পৌর মেয়র ফয়জুল করিম ময়ূন, নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল হোসেন চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলম খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরুল ইসলাম, অফিসার ইনচার্জ আজিজুর রহমান ও ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ম্যানেজার তন্ময় কুমারসহ সংশিস্নষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান। প্রয়োজনীয় পরীড়্গা-নিরীক্ষার পর খান মঞ্জিলটি থেকে দ্রম্নত লোকজনকে স্থানান্তর করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, নির্মাণকালে পৌর কর্তৃপক্ষের গাফিলতি থাকায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। এজন্য নির্মাণের পর পরই হেলে পড়ে ভবনটি। ভবন ফাটলের খবর পেয়ে হাজার হাজার কৌতূহলী লোকজন সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন।
ভবনের মালিক ফজির খান জানান, ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় শনিবার বিকেল থেকেই ভেঙ্গে ফেলার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ভবনের সামনে বহুতল এই ভবনে ১৫ টি পরিবার ভাড়াটিয়া থাকতো। ২০০৬ সালে ভবনটি নির্মাণ করা হয়।
মৌলভীবাজার পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল হোসেন খান জানান, ফাউন্ডেশনের ত্রম্নটির কারণে হয়তো বিল্ডিংটি হেলে পড়েছে। তবে এই ভবনটি কত তলা বিশিষ্ট তা ফাইল না দেখে বলা যাবে না। বিল্ডিংটি সোমবার (৫ মে) ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে ভবনের মালিককে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলম খান জানান, ভবনের ভাড়াটিয়াদের নিরাপত্তার স্বার্থে দ্রম্নততম সময়ের মধ্যে ভবনটি সীলগালা করে দেওয়া হয়েছে। তবে এই মূহুর্তে এভাবে ভবন ভাঙ্গা যাবে না। কারণ আশপাশে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যে কোন সময় বড় ধরনের ঘটনা ঘটে যেতে পারে।