রাসূলুল্লাহ সা:-এর অবমাননার পরিণাম

হাবীবুল্লাহ মুহাম্মাদ ইকবাল: আল্লাহ তায়ালা মানবজাতির হিদায়েতের জন্য যুগে যুগে নবী-রাসূল প্রেরণ করেছেন। সেই ধারাবাহিকতায় আমাদের প্রিয়নবী মুহাম্মাদ সা: বিশ্ব মানবগোষ্ঠীর জন্য সর্বশেষ নবী বা রাসূল। তিনি সব নবী ও রাসূলেরও নেতা। কুরআনে বলা হয়েছে, ‘অবশ্যই আল্লাহ মুমিনদের উপর অনুগ্রহ করেছেন, যখন তিনি তাদের মধ্য থেকে তাদের প্রতি একজন রাসূল পাঠিয়েছেন, যে তাদের কাছে তাঁর আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করে এবং তাদেরকে পরিশুদ্ধ করে আর তাদেরকে কিতাব ও হিকমাত শিক্ষা দেয়। যদিও তারা ইতোপূর্বে স্পষ্ট ভ্রান্তিতে ছিল।’ [সূরা আলে ইমরান : ১৬৪] বর্তমানে বিভিন্নভাবে রাসূলুল্লাহ সা:-এর অবমাননা করা হচ্ছে, অথচ আমরা জানি না যে, এর পরিণাম কত ভয়াবহ। এ বিষয়ে আমাদের সঠিক জ্ঞান থাকা খুবই জরুরি।
রাসূলুল্লাহ সা:-এর সম্মান ও মর্যাদা : মুহাম্মাদ সা:-এর সম্মান ও মর্যাদা আল্লাহ তায়ালা নির্ধারণ করেছেন। তাই ইচ্ছা করে তার মর্যাদা কেউ বাড়াতে বা কমাতে পারবে না। তারা নবীকে নিয়ে যতই কটূক্তি এবং অবমাননা করেছে আল্লাহ ততই তাঁর মর্যাদা বৃদ্ধি করেছেন। কুরআনে এসেছে, ‘আর আমরা আপনার খ্যাতিকে উচ্চ মর্যাদা দান করেছি’। [সূরা ইনশিরাহ : ৪)
প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের আজানে বিশ্বব্যাপী মসজিদে মসজিদে তাঁর নাম উচ্চারিত হচ্ছে। মুয়াজ্জিন ঘোষণা দিচ্ছে, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ্ ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল’।
বিশ্ব মানবমণ্ডলীর হিদায়াতের জন্য আমাদের প্রিয়নবী মুহাম্মাদ সা:কে প্রেরণ করা হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, তিনি বিভিন্ন সময় নানা রকমের বাধাবিপত্তি ও অবমাননার শিকার হয়েছেন। এ বিষয়ে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আর এমনিভাবেই আমরা প্রত্যেক নবীর জন্য বহু শয়তানকে শত্রুরূপে সৃষ্টি করেছি, তাদের কতক শয়তান মানুষের মধ্যে এবং কতক শয়তান জিনদের মধ্য থেকে হয়ে থাকে, এরা একে অপরকে কতগুলো মনোমুগ্ধকর, ধোঁকাপূর্ণ ও প্রতারণাময় কথা দ্বারা প্ররোচিত করে থাকে, আর আপনার রবের ইচ্ছা হলে তারা এমন কাজ করতে পারত না, সুতরাং আপনি তাদেরকে এবং তাদের মিথ্যা রচনাগুলোকে বর্জন করে চলুন।’ [সূরা আল-আন‘আম : ১১২]।
তাঁর ওপরও নবুওয়তি জীবনের শুরু থেকে বিভিন্ন রকমের কটূক্তি, অবমাননা এমনকি তাঁর পরিবারের ওপর অপবাদ দেয়া হয়েছে। বর্তমান তাঁর নাম বিকৃতি করা, তাঁর চরিত্র নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করা, বিভিন্ন ইবাদত নিয়ে ব্যঙ্গ করাসহ নানাভাবে পত্রিকা, ব্লগ, ফেসবুক ও বিভিন্ন মিডিয়ায় তাঁকে অবমাননা করা হচ্ছে। রাসূলুল্লাহ সা:-এর অবমাননা কত বড় জঘন্য অপরাধ তা নিম্নোক্ত বিষয় থেকে সুস্পষ্ট হয়।
এক. মানবাধিকার লঙ্ঘন : রাসূল সা:-এর ওপর অপবাদ ও তাঁর ব্যাপারে কুৎসা রটনা মানবাধিকার লঙ্ঘন। এ ধরনের জঘন্য কাজ কোনো বিবেকবান মানুষ করতে পারে না। যারা এ ধরনের কাজে লিপ্ত থাকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে তাদেরকে দণ্ডিত হতে হবে।
দুই. রাসূলের অবমাননা অনৈতিক কাজ : মুহাম্মাদ সা: তাঁর কর্মময় জীবনে সদা ব্যস্ত ছিলেন কিভাবে মানুষের কল্যাণ লাভ করা যায়। তাঁর গোটা জীবন ছিল মানবকল্যাণে নিবেদিত। অপরের কষ্ট সহ্য করতেন না তিনি। কুরআনুল কারীমে এসেছে, ‘তোমাদের নিকট একজন রাসূল এসেছে, যে তোমাদের মধ্যেরই একজন। তোমাদের তি হওয়া তাঁর পে দুঃসহ কষ্টদায়ক, তোমাদের সার্বিক কল্যাণেরই সে কামনাকারী। ঈমানদার লোকদের জন্য সে সহানুভূতিসম্পন্ন ও করুণাসিক্ত।’ [সূরা তাওবা : ১২৮]
তিন. রাসূলের অবমাননা শাস্তিযোগ্য অপরাধ : মহানবী সা:কে অবজ্ঞা করা, তুচ্ছ জ্ঞান করা, তাঁর শানে বেয়াদবি করা অর্থাৎ তাঁর প্রতি অবমাননাকর কোনো উক্তি করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। প্রসিদ্ধ আলেম কাজী ইয়াজ (রহ:) বলেন, ‘উম্মতের ওলামায়ে কেরাম এ ব্যাপারে একমত যে, রাসূলুল্লাহ সা:কে গালি দেয়া বা তাঁকে অসম্মান করার শাস্তি হচ্ছে হত্যা করা। এ ব্যাপারে সবার ইজমা হয়েছে যে, যে ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সা:কে গালি দেবে বা তাঁর অসম্মান করবে সে কাফের হয়ে যাবে এবং তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।’ (আস সারিমুল মাসলুল ১/৯)
চার. রাসূলের প্রতি অবমাননা একটি ফিতনাহ : রাসূল সা:-এর শানে অবমাননা একটি ফিতনাহতুল্য অপরাধ। কারণ এর ল্য হলো মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা ও সমাজে অশান্তি তৈরি করা। ভিন্নধর্মাবলম্বীদের প্রতি হিংসার আগুন জ্বালিয়ে দেয়াসহ ধর্মপ্রিয় মানুষকে আঘাত করা।
পাঁচ. রাসূলের অবমাননা একটি জুলুম : চরিত্র হচ্ছে মানবজীবনের এক অমূল্য সম্পদ। রাসূল সা: ছিলেন সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী। যে রাসূলের চারিত্রিক সার্টিফিকেট স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামীন দিয়েছেন তাঁর ব্যাপারে অবমাননাকর উক্তি করা চরম জুলুম ভিন্ন অন্য কিছুই নয়।
ছয়. রাসূলের অবমাননা একটি রাষ্ট্রদ্রোহ কাজ : গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার ধর্ম পালন ও সংরক্ষণের অধিকার দেয়া হয়েছে। অন্য কোনো ধর্ম বা কোনো ধর্মের নেতার বিষয়ে কটূক্তি করা সংবিধান তথা রাষ্ট্রবিরোধী কাজ।
রাসূলুল্লাহ সা:-এর অবমাননার পরিণাম ও শাস্তি : রাসূলুল্লাহ সা:-এর অবমাননা এবং তাঁকে বিদ্রুপ করার অধিকার কারো নেই। যে রাসূলকে অবমাননা এবং তাঁকে বিদ্রুপ করবে তার পরিণাম হবে অত্যন্ত ভয়াবহ। আর এ অপরাধের জন্য তাকে শাস্তিও পেতে হবে। নিম্নোক্ত আলোচনায় রাসূলের অবমাননার পরিণাম সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো :
এক. কাফের ও মুরতাদ বা ধর্মত্যাগী হয়ে যাবে : যে রাসূলের অবমাননা করবে সে মুরতাদ বা ধর্মত্যাগী এবং কাফির হিসেবে বিবেচিত হবে। এ বিষয়ে কুরআন মজিদে বলা হয়েছে, ‘মুনাফিকরা ভয় করে যে, তাদের বিষয়ে এমন একটি সূরা অবতীর্ণ হবে, যা তাদের অন্তরের বিষয়গুলো জানিয়ে দেবে। বলো, তোমরা উপহাস করতে থাক। নিশ্চয় আল্লাহ বের করবেন, তোমরা যা ভয় করছ’। আর যদি তুমি তাদেরকে প্রশ্ন করো, অবশ্যই তারা বলবে, ‘আমরা আলাপচারিতা ও খেল-তামাশা করছিলাম’। বলো, ‘আল্লাহ, তাঁর আয়াতসমূহ ও তাঁর রাসূলের সাথে তোমরা বিদ্রুপ করছিলে’? তোমরা ওজর পেশ করো না। তোমরা তোমাদের ঈমানের পর অবশ্যই কুফরি করেছ। যদি আমি তোমাদের থেকে একটি দলকে ক্ষমা করে দেই, তবে অপর দলকে আজাব দেব। কারণ, তারা হচ্ছে অপরাধী।’ [সূরা আততাওবাহ : ৬৫-৬৬]
দুই. দুনিয়াতে আল্লাহর লানতপ্রাপ্ত ও আখিরাতে কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হবে : যে রাসূলের অবমাননা করবে সে দুনিয়াতে আল্লাহর লানতপ্রাপ্ত ও আখিরাতে কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হবে। এ বিষয়ে কুরআন মজিদে বলা হয়েছে, ‘নিশ্চয় যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে কষ্ট দেয়, আল্লাহ তাদের প্রতি দুনিয়া ও আখিরাতে অভিসম্পাত করেন এবং তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন অবমাননাকর শাস্তি।’ [সূরা আল-আহজাব : ৫৭]
আর রাসূলকে অবমাননা এবং তাঁকে বিদ্রুপ করার মাধ্যমে তাঁকে সবচেয়ে বেশি কষ্ট দেয়া হয়। এ বিষয়ে হাদিসে এসেছে, ‘আনাস রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাসারা ছিল, সে ইসলাম গ্রহণ করল এবং সূরা আল-বাকারা ও আল ইমরান শিখল। সে নবী সা:-এর কাছে কেরানির কাজ করত। সে পুনরায় নাসারা হয়ে গেল এবং বলতে লাগল মোহাম্মদ আমি যা লিখি তাই বলে এর বাহিরে সে আর কিছুই জানে না। এরপর সে মারা গেল, তখন তার সাথীরা তাকে দাফন করল, সকালে উঠে দেখল তার লাশ বাইরে পড়ে আছে, তখন নাসারারা বলতে লাগল, মোহাম্মদের সাথীরা এই কাজ করেছে; কেননা সে তাদের ধর্ম ত্যাগ করেছিল। তখন তারা আরো গভীর করে কবর খনন করে তাকে আবার দাফন করল, আবার সকালে উঠে দেখল তার লাশ বাইরে পড়ে আছে। তখন তারা বলল, এটা মোহাম্মদ এবং তার সাথীদের কাজ; কেননা সে তাদের ধর্ম ত্যাগ করে এসেছিল। তখন তারা আবার আরো গভীর করে কবর খনন করল এবং তাকে দাফন করল, আবার সকালে উঠে দেখল তার লাশ আবার বাইরে পড়ে আছে, তখন তারা বুঝল, এটা কোনো মানুষের কাজ নয়, তখন তারা তার লাশ বাইরেই পড়ে থাকতে দিলো।’ [সহিহ বুখারি ও মুসলিম]
তিন. মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হবে : যদি কোনো ব্যক্তি বিচারের মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে, সে রাসূলের অবমাননা করেছে, তবে তাকে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে। এ বিষয়ে উম্মাতের সব উলামায়ে কিরাম একমত হয়েছেন। রাসূলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি তার দ্বীন (ইসলামকে) পরিবর্তন করল তাকে তোমরা হত্যা করো।’ [বুখারি ৩০১৭; ৬৯২২; তিরমিজি ১৪৫৮; আবু দাউদ ৪৩৫৩; নাসায়ী ৪০৭০]
রাসূলুল্লাহ সা:কে নিয়ে কটাক্ষ ও বিদ্রুপ করার কারণে একজন সাহাবী তার নিজ দাসীকেও হত্যা করেছে এবং রাসূলুল্লাহ সা: জেনে খুশি হয়েছেন। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে এভাবে : ইবনে আব্বাস রাদিআল্লাহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একজন অন্ধ ব্যক্তির একটি উম্মে ওয়ালাদ (যে দাসীর গর্ভে মালিকের সন্তান জন্মগ্রহণ করেছে) দাসী ছিল। ওই দাসী রাসূলুল্লাহ সা:কে অযথা কটূক্তি করত। অন্ধ ব্যক্তি তাকে বিরত থাকার নির্দেশ দিতেন ও নিবৃত্ত করার চেষ্টা করতেন। কিন্তু দাসী কিছুতেই বিরত হতো না। এক রাতে দাসী রাসূলুল্লাহ সা:কে নিয়ে কটূক্তি ও গালিগালাজ করতে লাগল। তখন লোকটি একটি কোদাল দিয়ে তার পেটে আঘাত করল এবং তাকে হত্যা করল। এ অবস্থায় তার একটি সন্তান তার দু’পায়ের মাঝখানে পড়ে গেল এবং রক্তে ভিজে গেল। সকাল বেলা রাসূলুল্লাহ সা:-এর কাছে বিষয়টি জানানো হলে রাসূলুল্লাহ সা: লোকদের জড়ো করলেন এবং ঘোষণা দিলেন, আল্লাহর কসম! যে ব্যক্তি আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ করেছে সে যেন অবশ্যই দাঁড়ায়। তার প্রতি আমারও একটি হক রয়েছে। তখন অন্ধ লোকটি কাঁপতে কাঁপতে মানুষের কাতার ভেদ করে রাসূলুল্লাহ সা:-এর কাছে গিয়ে বসে পড়ল। অতঃপর লোকটি বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! ওই ঘটনার ব্যক্তিটি আমি। আমার দাসীটি আপনাকে গালিগালাজ করত এবং অযথা তর্কে লিপ্ত হতো। আমি তাকে বারণ করলেও সে বারণ শুনত না। তার থেকে আমার মুক্তোর মতো দু’টি ছেলে রয়েছে। তার সাথে আমার দীর্ঘ দিনের সুসম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু গত রাতে সে যখন আপনাকে গালমন্দ করতে লাগল আমি তখন তাকে একটি কুঠার নিয়ে তার পেটে আঘাত করি এবং তাকে হত্যা করি। রাসূলুল্লাহ সা: উপস্থিত লোকদের বললেন, তোমরা সাক্ষী থাকো! তার রক্ত মূল্যহীন ঘোষণা করা হলো (তাকে হত্যা করার জন্য হত্যাকারী অন্যায়কারী হিসেবে বিবেচিত হবে না)। (আবু দাউদ ৪৩৬৩, ত্ববারানী ১১৯৮৪, বুলুগুল মারাম ১২০৪, দারাকুতনি ৮৯)
চার. শাস্তি না দিলে গোটা জাতি আল্লাহর গজবে পতিত হবে : রাসূলের অবমাননা করার পর যদি সামর্থ্য থাকার পরও শাস্তি না দেয়া হয় তবে গোটা জাতি আল্লাহর গজবে পতিত হবে। আল কুরআনের সূরা আন-নূরের ৬৩ নম্বর আয়াতে এসেছে, ‘অতএব যারা তাঁর নির্দেশের বিরুদ্ধাচরণ করে তারা যেন তাদের ওপর বিপর্যয় নেমে আসা অথবা যন্ত্রণাদায়ক আজাব পৌঁছার ভয় করে।’
পাঁচ. তার সব আমল বরবাদ হয়ে যাবে : যারা রাসূলের অবমাননার কাজে জড়িত থাকবে তাদের সব আমল বরবাদ হয়ে যাবে। আর যে তোমাদের মধ্য থেকে তাঁর দ্বীন থেকে ফিরে যাবে, ‘অতঃপর কাফির অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে, বস্তুত এদের আমলসমূহ দুনিয়া ও আখিরাতে বিনষ্ট হয়ে যাবে এবং তারাই আগুনের অধিবাসী।’ [ সূরা আল বাকারাহ : ২১৭]
সরকারের করণীয় : সরকার একটি রাষ্ট্রের পরিচালক এবং অভিভাবক। সরকারের অন্যতম কাজ হলো শিষ্টের লালন আর দুষ্টের দমন। অতএব সরকারের দায়িত্ব হলো যারা রাসূলের বিরুদ্ধে কটূক্তি করেছে তাদের সবাইকে এবং যারা তাদের সহযোগী তাদেরও গ্রেফতার করে বিচারের সম্মুখীন করা। কোনো ধরনের অজুহাত তৈরি করে প্রকৃত ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা থেকে বিরত থাকা। কুরআন মজিদে সরকারের দায়িত্ব সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘তারা এমন যাদেরকে আমি জমিনে ক্ষমতা দান করলে তারা সালাত কায়েম করবে, যাকাত দেবে এবং সৎ কাজের আদেশ দেবে ও অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করবে; আর সব কাজের পরিণাম আল্লাহরই অধিকারে’। [সূরা হাজ্জ:৪১]
লেখক : প্রবন্ধকার