ঢাকায় সহিংস দিন আর রাতের অবসান : বিবিসি

সহিংস দিন আর রাতের অবসান ঘটিয়ে রাজধানী ঢাকা এখন শান্ত হওয়ার পথে। সংঘর্ষের পুনরাবৃত্তি এড়াতে সোমবার মধ্যরাত পর্যন্ত শহরে সব ধরনের সভা ও মিছিলে জারি করা হয় নিষোধাজ্ঞা। প্রভাবশালী বৃটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসির ‘ক্ল্যাশেস ওভার বাংলাদেশ প্রটেস্ট লিভ ফিফটিন ডেড’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে এ কথা বলা হয়।
সংবাদে বলা হয়, রবিবার পুলিশ যখন ঢাকার মতিঝিল চত্বরের নিয়ন্ত্রণ নিতে যায় হাজার হাজার ইসলামী বিক্ষোভকারীকে তখন সে জায়গা ছেড়ে চলে যেতে দেখা যায়। পুলিশ কর্মকর্তারা জানায়, সোমবার ভোরেও বাণিজ্যিক ঐ এলাকায় লুকিয়ে থাকা বিক্ষোভকারীদের খুঁজে বের করতে অভিযান চালানো হয়।
গতকালের বিক্ষোভের কথা উল্লেখ করে এতে বলা হয়, রাজধানীর কেন্দ্রে অবস্থিত সবচাইতে বড় মসজিদের পাশে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ রণক্ষেত্রের রূপ ধারণ করে। বিক্ষোভকারীদের ছোঁড়া ইট-পাটকেলের জবাবে পুলিশ টিয়ার গ্যাস, সাউন্ড গ্র্যানেড, রাবার বুলেট ও লাটিচার্জ শুরু করে।
সংবাদে বলা হয়, রাজধানীর সংঘর্ষ শহরটির দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত কাঁচপুরে ছড়িয়ে পড়ে। আর সে সংঘর্ষে নিহত ও আহত হওয়ার বিভিন্ন খবর শোনা যায়। তবে কাচপুরের এ সংঘর্ষে ২ পুলিশ ও এক আইন শৃঙ্খলাবাহিনী কর্মকর্তা নিহতের বিষয় নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা দিয়ে এতে বলা হয়, বিক্ষোভকারীরা ছিলো আক্রমণাত্মক। কিছু লোক পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়ছিলো আর পরিবেশ যেন দ্রুত সহিংসতায় রূপ নিচ্ছিলো। অপরদিকে পুলিশেরও পাল্টা প্রতিরোধ ছাড়া যেন কিছুই করার ছিলো না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাংক কর্মকর্তার বর্ণনা দিয়ে বলা হয়, ঢাকার অনেক মানুষই এ ধরনের সহিংসতার জন্য ক্ষুব্ধ। এ ছাড়া ভবন ধসে ছয় শতাধিক লোক নিহতের ঘটনায় মানুষ এখনও শোকাহত।