বৃষ্টি হলেই রাস্তায় জমে থাকে পানি!

মোহাম্মদ আলী শিপন, বিশ্বনাথ : সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার জন গুরুতপূর্ণ সড়কের বেহালা দশা। উপজেলার অধিবাসীদের যাতাযাতের গুরুত্বপূর্ণ খানাখন্দকে ভরপুর উপজেলার সব ক’টি সড়ক। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছেন এই উপজেলার মানুষ। পাশিপাশি ঝুঁকির মধ্যেই চলছে যানবাহন। সড়কগুলো ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে ছোট ছোট গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলে গর্তের মধ্যে জমে থাকে পানি। প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন সড়কে নতুন করে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হচ্ছে। ভাঙ্গাচোরা রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই ঘটছে দূর্ঘটনা। রাস্তার এই বেহাল অবস্থার কারণ নির্মান কাজে ক্রটি। এখন শুধু বছর বছর জোড়াতালি দিয়ে দায়সারে কর্তৃপক্ষ। ফলে সংস্কার কাজ শেষ হতে না হতেই ভেঙ্গেচুরে একাকার হয়ে যায় সড়কগুলো। ছ’মাস পূর্বে সংস্কার হওয়া সড়কগুলোতেও নতুন করে ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া অনেক ক্ষেত্রে নামমাত্র কাজ দেখিয়ে বরাদ্দকৃত টাকা ভাগবাটোয়ারা করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। যার ফলে প্রতিদিন ছোট-বড় সড়ক দূর্ঘটনা ঘটেছে।উপজেলার কয়েকটি সড়ক ঘুরে দেখা যায়, রশিদপুর-বিশ্বনাথ সড়ক, বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর সড়ক,বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর-বাইপাসসড়ক,বিশ্বনাথ-বৈরাগীবাজার-সিঙ্গেরকাছ-সড়ক,বৈরাগী-আমতৈল বাজার-সড়ক,বিশ্বনাথ হাবড়া বাজার সড়ক,বিশ্বনাথ রামপাশা লামাকাজী সড়ক,বিশ্বনাথ-খাজাঞ্চী-কামালবাজার সড়ক,খাজাঞ্চী-মুফতির বাজার সড়ক, সিংগেরকাছ-টুকের বাজার সড়ক, দশঘর-মাছুখালি সড়ক,যথা সময়ে সংস্কার না করায় সড়কগুলি বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। এসব সড়কে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যানবাহনে চলাচল করছেন যাত্রীরা। ফলে মারাত্মক দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রী সাধারনকে।
সড়কের বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে সৃষ্টি হচ্ছে ছোট ছোট গর্ত। উপজেলাবাসীর জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো নিয়ে মহা-সমস্যায় থাকার পরও কর্তৃপক্ষ দিনের পর দিন রাস্তার এমন করুন দশা দেখেও না দেখার বান করে বসে আছেন। তবে এত খারাপ রাস্তা হওয়ার পরও থেমে নেই এখনকার বাস, অটোরিক্সা, টেম্পু, রিসকা, লাইটেস, কার,জীপসহ সকল গাড়ীর চালকদের জীবনের চাকা। তারা প্রতিদিনই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জীবিকার তাগিতে বের হচ্ছেন গাড়ী নিয়ে। রাস্তার অবস্থা খারাপ হওয়ার কারনে গাড়ী রাস্তা দিয়ে চলাচলের ফলে প্রতিনিয়ত নষ্ট হচ্ছে গাড়ী গুলোর যন্ত্রপাতি। এছাড়া রাস্তাগুলো দিয়ে রোগী নিয়ে চলাচল করতে জনসাধারনকে পোহাতে হচ্ছে নানান দূর্ভোগ।
অটোরিক্সা চালক তজম্মুল আলী বলেন, জীবিকার তাগিদে গাড়ি নিয়ে সড়কগুলোতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। অনেক সময় গাড়ির চাকা গর্তে পড়ে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়।
বিশ্বনাথ কলেজ পড়ুয়া ছাত্র মামুন আহমদ বলেন, বাড়ি থেকে কলেজ আসতে ভয় করে রাস্তার এই বেহাল অবস্থা দেখে। মনে ভয় জাগে কখন যেন কোন দূঘটনায় পড়ি।
উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা আবু বক্কর এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।