কমলগঞ্জে সড়ক পাকাকরণে নিম্নমানের ইট ও বালি : দেখার কেউ নেই

মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার কুরমা বনবিট এলাকা থেকে কুরমা বাজার পর্যন্ত ১ কি.মি. রাস্তা পাকাকরণে নিম্নমানের ইট ও বালি মাটি দিয়ে কাজ চলছে। কোন চার্ট না টানিয়ে কোনো রকমে জোড়াতালি দিয়ে রাস্তার কাজ সম্পন্ন হলেও দুর্গম এলাকা থাকায় অনিয়মটি দেখার কেউ নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কমলগঞ্জ উপজেলার এলজিইডি’র আওতাধীন কমলগঞ্জ-কুরমা-চাম্পারায় সড়কের কুরমা বনবিট এলাকা থেকে কুরমা বাজার পর্যন্ত ১ কি.মি. রাস্তা পাকাকরণ কাজ শুরম্ন হয় সম্প্রতি। কুলাউড়ার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদার মামুন আহমদ কাজটি করছেন। রাস্তা পাকাকরণে কত টাকার কাজ হচ্ছে সে বিষয়ে কারো কাছ থেকে সুষ্পষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। রাস্তায় চার্ট টানানোর কথা থাকলেও কোথাও কোন চার্টও পাওয়া যায়নি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, খুবই নিম্নমানের ইটের কনক্রিট দিয়ে ভরাটকৃত রাস্তায় প্রবল বৃষ্টিপাতের মধ্যেই পলিমাটি দিয়ে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। এ সময় ঠিকাদারের পড়্গে তদারককারী জনৈক ব্যক্তির কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদকের সাথে অসদাচরণ করেন। পরে এক পর্যায়ে নাম প্রকাশ না করে তিনি চা খাওয়ানোর জন্য এ প্রতিবেদককে জোর অনুরোধ জানিয়ে রাস্তার উপরে অন্য এক ঠিকাদারের সস্নুইস গেট নির্মাণের কারণে তাদের কাজে ব্যাঘাত হচ্ছে বলে জানান। প্রয়োজন ছাড়াই পাশের ধলাই নদী থেকে পলিমাটি নিয়ে রাস্তায় দেওয়া হচ্ছে। পলিমাটি দেয়ার ফলে রাস্তায় কাঁদা জমে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ঠিকাদার মামুন আহমদ জানান, প্রায় ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ে রাস্তার ১ কি.মি. স্থানে পাকাকরণ কাজ চলছে। তবে রাস্তার পাকাকরণ কাজে কোন অনিয়ম হচ্ছে না দাবি করে তিনি বলেন, সিডিউলে পলিমাটি দেয়ার কথা রয়েছে বলে পলিমাটি দেয়া হচ্ছে। তাছাড়া রাস্তায় দেয়া ইটের কনক্রিটও উন্নতমানের বলে তিনি দাবি করেন। এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী গোলাম মো: মহিউদ্দিন জানান, রাস্তায় কত টাকার কাজ হচ্ছে তিনি অফিসে গিয়ে ফাইল না দেখে বলতে পারবেন না। তবে রাস্তায় নিম্নমানের কাজ বিষয়ে তিনি শীঘ্রই সাইটে গিয়ে কাজ তদারকি করবেন বলে জানিয়েছেন।