‘বিদেশিদের কাছে ধর্না দিয়ে লাভ নেই, বর্তমান সংবিধানেই নির্বাচন’

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে দুর্বল আখ্যায়িত করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বিদেশীদের কাছে ধর্না দিয়ে বা ধান্ধা করে কোনো লাভ নাই, সাংবিধানিক ব্যবস্থার অধীনেই নির্বাচন হবে।
শনিবার সকালে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে আওয়ামী শিল্পগোষ্ঠী’র হেফাজত-জামায়াত-বিএনপির রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ডে দেশবাসীর করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
নাসিম বলেন, ‘বিদেশীরা বন্ধু হিসেবে পরামর্শ দিতে পারে, তাদের ফর্মুলায় তো আর নির্বাচন হবে না’।
এ ব্যাপারে তিনি বিরোধী নেতাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, জামায়াত যদি বএনপির কাঁধে চেপে বসে নাই থেকে তাহলে নির্বাচনের জন্য জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন।
তিনি বলেন, সেক্ষেত্রে আপনাকে (খালেদা) যেসব নেতা ভুল পরামর্শ দিয়ে ভুল পথে পরিচালিত করছে তাদের পরিহার করুন।
সাভারে ভবন ধসে লাশ গুমের ব্যাপারে বিএনপির অভিযোগকে মিথ্যাচার হিসাবে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, লাশ গুম তো দূরের কথা এখন জীবিত মানুষ উদ্ধার হচ্ছে। মিথ্যুকরা মিথ্যাচার করবেই আর জনগণই আগামীতে ভোটের মাধ্যমে এর জবাব দেবে।
হেফাজতকে শাপলা চত্বর থেকে সরিয়ে দেয়ার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে ‘দুঃসাহসিক’ অভিহিত করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া নীলনকশা বাস্তবায়ন করতে আগের দিন ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে পরের দিন এদের (হেফাজত) ব্যবহার করে ক্ষমতার মসনদে যাওয়ার দুঃস্বপ্ন দেখেছিলেন।
তিনি সেদিনের ঘটনা তুলে ধরে বলেন, আওয়ামী লীগ বুঝে গিয়েছিল আরেকটি ১৫ আগষ্ট ও ২১ আগষ্ট এসে গেছে। সেজন্য হয় বাঁচতে হবে, না হয় মরতে হবে, না হয় মারতে হবে।
সে জন্যই ঢাকা মহানগরীর সকল এমপি ও সারাদেশের নেতাকর্মীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। পরদিন সকাল থেকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে মিছিল, মিটিং ও সমাবেশ করার জন্য তাদেরকে বলা হয়েছিল।
হেফাজতকে সমাবেশ করার অনুমতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আলেম, ওলামা ও মুরব্বিরা দোয়া এবং মোনাজাত করবে এটা মেনে নিয়েই সেদিন সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছিল।’
‘আর তারা দোয়া মোনাজাতের নামে ইলেকট্রিক করাত নিয়ে এসে গাছ কেটে ধ্বংস করেছে, আইল্যান্ডে গর্ত করে অবস্থান নেওয়ারও পরিকল্পনা করেছিল’ বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক সালাহউদ্দিন বাদলের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. সেলিম, ফাতেমা জামান সাথী, এম এ করিম, হুমায়ুন কবির মিজী প্রমুখ।