কাছেই ‘মহাসেন’!

স্টাফ রিপোর্ট : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’ উপকূলের দিকে আরো এগিয়ে এসেছে। দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোর জন্য তিন নম্বর সতর্ক সঙ্কেত বহাল রাখা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়, সোমবার সকাল ৬টায় ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিম, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিম এবং মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
অবশ্য গত দুদিনের তুলনায় ঘূর্ণিঝড়টি এখন কিছুটা ধীর গতিতে এগোচ্ছে। রোববার সন্ধ্যার পর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার এগিয়েছে ‘মহাসেন’।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি আরো ঘনীভূত হয়ে উত্তর উত্তর-পশ্চিমে অগ্রসর হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের এক টানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়োহাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।
সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মংলা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সাগরে মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোতে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী সাইক্লোনের আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছে, আগামী মঙ্গলবার বা বুধবার নাগাদ মহাসেন মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ এবং সংলগ্ন বাংলাদেশ উপকূলের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে।
এ সময় বাতাসের বেগ ঘণ্টায় ১৬৬ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে বলে যুক্তরাষ্ট্রের নৌ ও বিমান বাহিনীর যৌথ টাইফুন সতর্কতা কেন্দ্রের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিপ্তরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানান, তৃতীয় শতকের সিংহলি রাজা মহাসেনের নামে এই ঝড়ের নামকরণ করেছে এস্কাপ (ইএসসিএপি) প্যানেল।
তথ্য সংরক্ষণ ও বোঝানোর সুবিধার জন্য এস্কাপ ঝড়গুলোর নাম দেয়, যা আগেই ঠিক করে রাখা হয়।