কুলাউড়া বিদ্যুৎ সরবরাহের চরম অবনতিতে ভোগান্তি সরকারের লাখ লাখ টাকার রাজস্ব ক্ষতি

এম. মছব্বির আলী : কুলাউড়া পিডিবি’র অব্যবস্থাপনা ও দায়িত্বহীনতার কারনে ২০/৩০ ঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকা নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত এক পক্ষকাল যাবৎ কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখাসহ তিন উপজেলাবাসীদের বিদ্যুৎ বিড়ম্বনায় একদিকে দৈনন্দিন কাজ-কর্মে সীমাহীন দূর্ভোগ পোহানোসহ প্রায় অর্ধশত চা-বাগান ও বিভিন্ন শিল্প-ব্যবসা প্রতিষ্টান মালিকদের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন ও অপর দিকে সরকারকে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কুলাউড়া বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রকে আবাসিক প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে বিগত ২০০৯ সালে আপগ্রেড করে নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে উন্নীত করার পর থেকে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের সেবা প্রদানের মানের ক্রমশঃ অবনতি ঘটেছে। ফলে আবাসিক প্রকৌশলীর আমলে বিদ্যুৎ গ্রাহকরা যেভাবে বিদ্যুতের সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছেন, পরবর্তী সময়ে উক্ত অফিসকে আপগ্রেড করে নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে দায়িত্ব প্রদানের পর থেকে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের ভোগান্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। গত এক পক্ষকাল যাবৎ বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থাপনায় চরম অবনতি ঘটেছে। দিনের বেলায় ৫/৭ঘন্টা বিদ্যুৎ চালু রাখা হলেও রাত হওয়ার সাথে সাথে প্রতিদিন লাইনে ফল্ট অজুহাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে ২০/৩০ ঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকা নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাড়িয়েছে। ফলে তিন উপজেলাবাসীদের ভ্যাপসা গরমের মধ্যে সারারাতসহ ২০/৩০ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিহিন অবস্থায় কাটাতে হচ্ছে। এতে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী-পরীক্ষার্থীদেও লেখা-পড়া,বাসা-বাড়ীর দৈনন্দিন কাজ-কর্ম ব্যাহতসহ পানির সংকটে বিদ্যুৎ গ্রাহকরা অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন। নির্বাহী প্রকৌশলী স্বাগত সরকার জানান কুলাউড়া বিদ্যুৎ অফিসে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রয়োজনীয় সংখ্যক লোকবল না থাকায় জরাজীর্ন লাইনের ত্রুটি মেরামতে বিলম্ব হওয়ায গ্রাহকরা ভোগান্তির সম্মুখীন হন। লোকবলের তীব্র সংকট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের জানা থাকা সত্বে ও সৃষ্ট সমস্যার সমাধানে জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে দায়িত্বহীনতার কি কারন থাকতে পারে তা ভুক্তভোগীদের এক জিজ্ঞাসা হয়ে দাড়িয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহের এ চরম অব্যবস্থাপনা থেকে তিন উপজেলাবাসীকে রক্ষাকল্পে অনতিবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ভুক্তভোগীরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।