সাঈদীর সাক্ষী বালী দমদম কারাগারে : নিশ্চিত হয়েছে বিবিসি

েডস্ক িপার্ট: বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর মামলার অন্যতম সাক্ষী সুখরঞ্জন বালি ভারতের একটি কারাগারে বন্দী রয়েছেন বলে বিবিসি জানতে পেরেছে।সুখরঞ্জন বালি গত বছরের ৫ নভেম্বর ঢাকায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল চত্বর থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। কিন্তু কলকাতা থেকে বিবিসি’র অমিতাভ ভট্টশালী জানাচ্ছেন, সুখরঞ্জন বালা নামে এক ব্যক্তি কলকাতার দমদম কারাগারে বন্দী রয়েছেন বলে কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে তিনি নিশ্চিত হয়েছেন।
বাংলাদেশের ‘নিখোঁজ’ সুখরঞ্জন বালী এবং দমদম কারাগারের এই সুখরঞ্জন বালা একই ব্যক্তি বলেই ভারতের কারা কর্তৃপক্ষ, আদালতের নথিপত্র এবং আরও বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ঢাকার ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউএজে সুখরঞ্জন বালী ভারতে বন্দী রয়েছেন বলে খবর প্রকাশিত হয়। এই খবরের সূত্র ধরে বিবিসির এক অনুসন্ধানে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
অপহরণ রহস্য জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে সুখরঞ্জন বালি শুরুতে ছিলেন রাষ্ট্রপক্ষের পক্ষের সাক্ষী। কিন্তু পরে তিনি পক্ষ পরিবর্তন করে দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর পক্ষে সাক্ষী হতে রাজী হন বলে বিবাদী পক্ষের আইনজীবিরা জানান। গত বছরের ৫ নভেম্বর ঢাকায় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত প্রাঙ্গণ থেকে সুখরঞ্জন বালি নিখোঁজ হন। জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর আইনজীবীরা তখন অভিযোগ করেছিলেন যে তাকে সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর লোকজন অপহরণ করে নিয়ে গেছে। তবে রাষ্ট্রপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করেন।
যেভাবে দমদম কারাগারে বিবিসির সংবাদদাতা অমিতাভ ভট্টশালী জানান, অবৈধভাবে ভারতে ঢোকার দায়ে উত্তর চব্বিশ পরগণার স্বরূপনগর এলাকায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ২৩ ডিসেম্বর রাতে এক বাংলাদেশিকে আটক করে বিএসএফ। বসিরহাট আদালতের নথি ঘেঁটে সেখানকার আইনজীবী মোশারফ হোসেন জানিয়েছেন যে, ওই ব্যক্তির নাম সুখরঞ্জন বালা, পিতার নাম প্রয়াত ললিত রঞ্জন বালা, গ্রাম পাড়ারহাটি, থানা গঙ্গারামপুর, জেলা পিরোজপুর, বাংলাদেশ।
অমিতাভ ভট্টশালী জানান, আইনজীবী মোশারফ হোসেন ধারণা করছেন, বিএসএফ-এর সদস্যদের বেশিরভাগই যেহেতু হিন্দীভাষী, তাই আটক হওয়ার পর কাগজপত্রে নাম রেকর্ড করার সময় হয়তো সুখরঞ্জন বালীর নাম ভুল বানানে লেখা হয়েছে।
কোর্টের নথি থেকে আরও জানা গেছে, বিএসএফ ওই ব্যক্তিকে স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেয়। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা নম্বর ৭১৩, তারিখ ২৫ ডিসেম্বর, ২০১২৻
পরের দিন, অর্থাৎ ২৬ ডিসেম্বর সুখরঞ্জন বালীকে আদালতে পেশ করা হয় অবৈধভাবে ভারতের সীমানা অতিক্রম করার অভিযোগে৻ বিদেশি আইনের ১৪ এ এবং ১৪ সি ধারায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।
বসিরহাটের দ্বিতীয় অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট তেসরা এপ্রিল সুখরঞ্জন বালির বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করেন৻ মাঝের সময়টা তিনি জেল হেফাজতেই ছিলেন