‘মহাসেনে’র তাণ্ডবে তিন দেশে নিহত ৪৯

যতটা আশঙ্কা করা হয়েছিল ততটা প্রলয়ঙ্কারী না হলেও ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’র তাণ্ডবে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও শ্রীলঙ্কায় অন্তত ৪৯ জন নিহত হয়েছে। বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ বড় ধরনের ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। মঙ্গলবার জাতিসংঘ জানিয়েছিল, ‘মহাসেন’ দুর্বল হয়ে পড়লেও মিয়ানমার ও বাংলাদেশের প্রায় ৮২ লাখ মানুষের জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ভারী বর্ষণের মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে তার পূর্বাভাসকৃত পথেই পশ্চিম দিকে সরে যায়। এতে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। বড় ধরনের কোনো জলোচ্ছ্বাসও হয়নি।
১৯৯১ সালে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট একটি ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে বাংলাদেশের প্রায় ১ লাখ ৩৯ হাজার লোক নিহত হয়। এরপর ২০০৭ সালে বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় সিডরে মারা গিয়েছিল সাড়ে ৩ হাজার লোক। ২০০৮ সালে মিয়ানমারে ঘূর্ণিঝড় নারগিসে নিহত হয় ১ লাখ ৩০ হাজার লোক। তবে মহাসেনের শক্তি ছিল সেসব ঝড়ের চেয়ে অনেক কম। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ‘মহাসেন’ বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে শুরু করে। ঘূর্ণিঝড়টি বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হয়ে বিকেল ৪টায় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার কাছ দিয়ে নোয়াখালী-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করে।