পদ্মায় দুর্নীতির ষড়যন্ত্রে পরিবারের সম্পৃক্ততা নাকচ প্রধানমন্ত্রীর

ডেস্ক রিপোর্ট : পদ্মা প্রকল্পে কাজ পাইয়ে দেয়ার বিনিময়ে ঘুষ লেনদেনের ষড়যন্ত্রে পরিবারের সদস্যদের জড়িত থাকার অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতু প্রকল্পে ঘুষ লেনদেনে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর বোন শেখ রেহানা ও পরিবারের সদস্যদের জড়িত থাকার অভিযোগ নিয়ে কানাডার সরকারি টেলিভিশনের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, এ অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। তারা এটা প্রমাণ করতে পারেনি।
বিরোধী দল অভিযোগ করে আসছে, পদ্মা সেতু প্রকল্পে ‘দুর্নীতিতে’ প্রধানমন্ত্রীর পরিবার ও দলীয় ‘লোকজন’ জড়িত।
কানাডার সরকারি টেলিভিশন সিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে টেরেন্স ম্যাকেনা এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি তা উড়িয়ে দেন।
টেরেন্স ম্যাকেনার নেয়া ওই সাক্ষাৎকার সম্বলিত ১৫ মিনিটের অনুষ্ঠানটি গত ১৫ মে সমপ্রচার হয়।
‘দ্য ন্যাশনাল’ অনুষ্ঠানে ‘এসএনসি অ্যান্ড এ ব্রিজ ফর বাংলাদেশ’ প্রতিবেদনে এসএনসি লাভালিনের বিরুদ্ধে অভিযোগের ওপর আলোকপাত করা হয়।
দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর কানাডার এই কোম্পানিটি বিশ্ব ব্যাংকে এখন কালো তালিকাভুক্ত। কোম্পানির ভাইস প্রেসিডেন্ট রমেশ শাহ ও প্রকৌশলী মো. ইসমাইল বিচারের মুখোমুখি।
টেরেন্স ম্যাকেনা আওয়ামী লীগের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবুল হোসেনকে দলের মূল তহবিল সংগ্রহকারী হিসেবে উল্লেখ করলে তা-ও নাকচ করেন দলের প্রধান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আমার দলে তার এমন কোনো দায়িত্ব ছিলো না। কেউ যদি তা বলে, তা পুরোপুরি ভুল।
শেখ হাসিনা সিবিসিকে বলেন, তার সরকার অভিযোগ পাওয়ার পর দ্রুতই কার্যকর পদক্ষেপ নেয়। অভিযোগ তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে দায়িত্ব দেয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আামি কানাডা এবং বিশ্ব ব্যাংকের কাছে তথ্য প্রমাণ চেয়েছি। দুর্নীতি তদন্তে দুদক স্বাধীনভাবে কাজ করেছে। কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ হয়নি।
তিনি একইসঙ্গে মনে করিয়ে দেন, এ প্রকল্পে কোনো দুর্নীতি হয়নি। বিশ্ব ব্যাংক বলেছে, দুর্নীতির একটি ষড়যন্ত্র হয়েছিলো।
সিবিসি দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কৌঁসুলি আনিসুল হকের সঙ্গেও কথা বলেছে। তিনি বলেন, ঘুষ লেনদেনের ষড়যন্ত্রের একটি প্রমাণ পাওয়া গেছে, যার ভিত্তিতে দুদক মামলাও করেছে।
দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী কায়সারের সঙ্গেও কথা বলেছে সিবিসি। তিনি কথিত দুর্নীতির সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততা নাকচ করেছেন।