কমলগঞ্জে প্রবাসীদের নামে সার-বীজ বিতরণের অভিযোগ
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের জন্য বরাদ্দকৃত বিনা মূল্যে সার, বীজ ও নগদ অর্থ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ইউপি সদস্যের কারসাজিতে প্রবাসীদের নামেও সার, বীজ দেয়া হলেও প্রকৃত অনেক কৃষকরাই সার বীজ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। জানা যায়, কমলগঞ্জ উপজেলায় ২০০৯-২০১০ অর্থ বছরে ৩৩ হাজার কৃষকের নামে কার্ড বরাদ্দ করা হয়। এর বিপরীতে চলতি আউশ মৌসুমে মাত্র ২৮০০ জন কৃষকের মাঝে মাথাপিছু হারে প্রতি কার্ডের বিপরীতে ২০ কেজি ইউরিয়া, ১০ কেজি এমওপি (পটাশ), ১০ কেজি ডিএপি, ৫ কেজি বিআর ১৪ বীজ বিতরণ করা হয়। এছাড়াও এসব কৃষকদের সেচ সহায়তা হিসাবে ব্যাংকের মাধ্যমে নগদ ৩০০ টাকা করে প্রাদান করা হবে। গত ৫ মে আনুষ্ঠানিকভাবে কৃষকদের মাঝে ১৪মে.টন বীজ, ৫৬ মে.টন ইউরিয়া, ২৮ মে.টন ডিএপি ও ২৮ মে.টন এমওপি সার বিতরণ করেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ মোঃ আব্দুস শহীদ এমপি। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক ছাড়াও প্রবাসীদের নামে সার, বীজ বিতরণ করার হয়েছে বলে শমশেরনগর ইউনিয়নের কৃষকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। এছাড়াও উপজেলার পতনঊষারসহ বিভিন্ন ইউনিয়নেও এভাবে স্বজন প্রিতির মাধ্যমে সার বিতরণ করা হয়েছে বলে কৃষকরা অভিযোগ করেছেন। অভিযোগকারী রঘুনাথপুর গ্রামের কৃষক শাহানুর মিয়া, মসুদ মিয়া, ভরতপুর গ্রামের কৃষক রফিক মিয়া বলেন, বিধি অনুযায়ী তাদের নামে কৃষক কার্ড ইস্যু করে বিনা মূল্যে সারসহ কৃষি উপকরণ ও নগদ অর্থ বিতরণ করার কথা থাকলেও স্থানীয় ইউপি সদস্য তাজুদ আলী কার্ড ভুক্তদের সারসহ কৃষি উপকরণ ও নগদ অর্থ প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত করেন। কৃষকরা আরও বলেন, ইউপি সদস্য ভরতপুর গ্রামের দুবই প্রবাসী সত্তার মিয়া ওরফে ছতই মিয়া, ওমান প্রবাসী ছমরু মিয়া, দুবাই প্রবাসী সজ্জাদ মিয়া, রঘুনাথপুর গ্রামের যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মন্নান মিয়া ও দুবাই প্রবাসী শহীদ মিয়ার নামে সার বরাদ্ধ করা হয়। এসব প্রবাসীরা বিদেশে অবস্থান করলেও দেশে তাদের নামে কৃষক কার্ড ইস্যু করা হয়। অথচ তারা নিজেদের জমি থাকলেও বর্গা চাষীরা জমি চাষ করেন বলেও তারা অভিযোগ করেন। অভিযোগ বিষয়ে শমশেরনগর ইউপি সদস্য তাজুদ আলী বলেন, এ অভিযোগ সঠিক নয়। প্রকৃত কৃষকদের নামে কার্ড ইস্যু করা হয়েছে এবং কৃষকরাই সার পেয়েছেন। তিনি কোন প্রবাসীকে সার পাইয়ে দিতে সহায়তাও করেননি। একটি বিশেষ মহল তাকে হেয় করার জন্য এ অভিযোগ তোলেছেন বলে তিনি মন্তব্য করেন। কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শামছুদ্দীন আহমদ বলেন, এবার ইউপি সদস্যরা ওয়ার্ড ভিত্তিক কৃষকদের কার্ড তৈরী করেন। এখানে ভুল হওয়ার কথা নয়। তারপরও অভিযোগ বিষয়ে তদন্ত করে বিহীত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।