হাকালুকি হাওরে অভয়াশ্রম নিয়ে টালবাহানা

নুরুল ইসলাম শেফুল : হাকালুকি হাওরে ৮টি মৎস্য অভয়াশ্রম তৈরি নিয়ে টালবাহানা ও কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। শুষ্ক মওসুমে অভয়াশ্রম তৈরির কথা থাকলেও, কাজ শুরু হয়েছে বর্ষা মওসুমের আগ মুহূর্তে। এমতাবস্থায় তড়িঘড়ি করে কাজ শেষ করার অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২৩৮টি বিল সম্পন্ন হাকালুকি হাওরে ১৮টি মৎস্য অভয়াশ্রম তৈরির অনুমোদন দিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়। তন্মধ্যে চলমান অর্থবছরে অগ্রাধিকার ভিত্তিক ৮টি অভয়াশ্রম তৈরির পরিকল্পনা নেয়া হয়। ৮টি অভয়াশ্রমের মধ্যে গৌরাঙ্গ বিল, মালাম বিল ও কাংলি গোবর কুঁড়ি বিলের অভয়াশ্রম তৈরির দায়িত্ব বর্তায় উপজেলা পরিষদের অন্তর্ভুক্ত মৎস্য বিভাগের ওপর। প্রতিটি অভয়াশ্রম তৈরির জন্য বরাদ্দ নিশ্চিত হয় ৬৭ লাখ টাকারও অধিক। খবর নিয়ে জানা গেছে, অভয়াশ্রম তৈরির জন্য বিল খননের উদ্যোগ নেয়া হয় ফাল্গুন মাসে। ঢিমেতালে মাটি খননের ফলে খনন প্রক্রিয়া বিঘ্িনত হয়েছে বারবার। যতটুকু বিল খননের কথা ছিল ততটুকু সম্ভব হয়নি বর্ষার কারণে। বড়লেখা উপজেলার অধীন মালাম বিলে ৬০% এবং জুড়ী উপজেলার অধীন গৌরাঙ্গ বিলে ৩৫% কাজ হয়েছে বলে একটি সূত্র দাবি করছে। কুলাউড়া উপজেলার অধীন কাংলী গোবরকুঁড়ি বিলে অভয়াশ্রম নির্মাণের কথা থাকলেও এখানে কোন কাজ হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। অপরদিকে হাকালুকি হাওরের তেকুনিয়া কুড়িরমোরা কেশবডহর বিল, মাইয়াজুড়ী, নিমু বিল, রনচি বিল ও মাইছলার ডাক বিলে অভয়াশ্রম তৈরির দায়িত্ব বর্তেছে সেন্টার কর ন্যাচারাল রিয়োর্স স্টাডি (সিএনআরএস) নামীয় সংস্থার ওপর। উল্লিখিত পাঁচটি বিলে এরই বাসত্মবতা বিরাজ করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। উল্লেখ্য, বিল সেচ করে প্রতি বছর মাছ ধরার প্রক্রিয়ায় গত ২০ বছরের মধ্যে হাকালুকি হাওর থেকে ২৬টি প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এমতাবস্থায় হাকালুকি হাওরে অন্তত ২৫টি মৎস্য অভয়াশ্রম তৈরির দাবি উঠেছিল বিভিন্ন মহল থেকে।