কুলাউডা-শাহাবাজপুর-করিমগঞ্জ রেলসংযোগ চালু হচ্ছে
কুলাউড়া প্রতিনিধি : বাংলাদেশ রেলওয়ে ভারতের সঙ্গে রেলসংযোগে কুলাউডা-শাহাবাজপুর-করিমগঞ্জ রেলসংযোগ পুনরায় চালু হচ্ছে। বাংলাদেশ-ভারতের রেলসংযোগ স্থাপনে বর্তমানে মহাজোট সরকার কয়েকটি প্রকল্প বাসত্মবায়নে কাজ করছে। তার মধ্যে অন্যতম মৌলভীবাজারের কুলাউড়া জংশন থেকে শাহাবাজপুর হয়ে করিমগঞ্জ পর্যন্ত। ৬৭ দশমিক ৪ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫১৯ কোটি টাকা।
প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর ভারতের ঋণে প্রকল্পটি বাসত্মবায়নের জন্য ইতিমধ্যে প্রসত্মাব পাঠানো হয়েছে। মৌলভীবাজারের কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেলপথ ব্রিটিশ আমলে নির্মিত আসাম-বেঙ্গল রেলওয়ের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ঘন ঘন দুর্ঘটনা, কাঠের সিস্নপার, সেতুসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ সংস্কারের অভাবে ও এ লাইনে লোকসানের অজুহাতে তৎকালীন বিএনপি জোট সরকার ২০০২ সালের ৭ জুলাই এ পথে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়। এ লাইন চালু হওয়ার জন্য স্থানীয়ভাবে কয়েকটি সংগঠন কুলাউড়ায় মানববন্ধনসহ বিভিন্ন আন্দোলন করেছিল।এছাড়া মৌলভীবাজারের বড়লেখার এমপি শাহাব উদ্দিন ও কুলাউড়ার এমপি নওয়াব আলী আবাছ খান উক্ত লাইন চালু হয়ার জন্য বারবার সংসদে উত্থাপন করেছেন। পরবর্তী সময়ে জানা গেছে, বর্তমান সরকার ১১৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকায় কুলাউড়াা-শাহাজপুর ৪২ কিলোমিটার রেলপথ সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। তবে ২০১১ সালের জুলাইয়ে অনুমোদনের পর আর প্রকল্পটির কোনও কাজই হয়নি। বাংলাদেশ রেলওয়ে ভারতের সঙ্গে রেল সংযোগ স্থাপনে সমপ্রতি প্রকল্পটি সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। এক্ষেত্রে কুলাউড়া থেকে শাহবাজপুর হয়ে ভারতের মহিশাসনের করিমগঞ্জ বর্ডার পর্যন্ত ৬৭ দশমিক ৪ কিলোমিটার রেলপথ সংস্কার ও পুনঃনির্মাণের পরিকল্পনা নেওযা হয়েছে। এতে প্রকল্পটির ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১৯ কোটি টাকা। এতে ৫ কোটি ৪৪ লাখ ডলার (৪৩৫ কোটি টাকা) ঋণ সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ব্রিটিশ শাসন আমলে ভারতের সঙ্গে এ অঞ্চলের বেশকিছু রেললাইনে ট্রেন চলাচল ছিল। কিন্তু ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের পর এগুলো বন্ধ হয়ে যায়। এ লাইনে লোকসানের অজুহাতে তৎকালীন বিএনপি জোট সরকার ২০০২ সালের ৭ জুলাই এ পথে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্কভুক্ত দেশ বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে রেল যোগাযোগ গড়ে তোলার জন্য ২০১০ সালে ভারত সফরের সময় এ রুটগুলো পুনরায় চালু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।