যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোর তাণ্ডবে ২০ শিশুসহ নিহত ৯১

টর্নেডোর ভয়াবহ ছোবলে তছনছ হয়ে গেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমা শহরের উপকণ্ঠ। ঘণ্টায় ৩২০ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানা এই বিধ্বংসি টর্নেডোতে অন্তত ২০ শিশুসহ ৯১ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরো অন্তত ১২৫ জন। ওকলাহোমা অঙ্গরাজ্যের কর্মকর্তারা বলেছেন, নগরীর দক্ষিণে মুর এলাকাটি রীতিমত ল-ভ- হয়ে গেছে। টর্নেডোর আঘাতে কয়েকটি স্কুল মাটির সঙ্গে মিশে গেছে।
প্রাকৃতিক এই বিপর্যয়ের পর পরই সেখানে উদ্ধার কাজ শুরু হয়। যারা আটকা পড়েছিল তাদের উদ্ধার করা হয়। টর্নেডোটি প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে তা-ব চালায়।
স্থানীয় সময় সোমবার বিকাল চারটার দিকে ওকলাহোমার শহরতলীতে, যেখানে প্রায় ৫৫ হাজর লোকের বসবাস সেখানে আঘাত হানে টর্নেডোটি।
মার্কিন আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, ঘণ্টায় ৩২০ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানা এ টর্নেডোর ব্যস ছিল অন্তত দুই কিলোমিটার।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক হোসেন ওবামা একে মহাবিপর্যয় হিসাবে ঘোষণা করেছেন।
অঙ্গরাজ্যের প্রধান মেডিকেল পরীক্ষক অফিস বলেছেন, নিহতদের মধ্যে অন্তত ২০ জন শিশু রয়েছে।
স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, টর্নেডোটি কারণে স্কুল, বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ধসে পড়েছে। তারা বলছেন, স্কুলের ধ্বংসস্তূপের ভেতরে অন্তত ২০টি শিশু আটকা পড়ে যাদের বয়স ৮ বছর বা তার চেয়েও কম।
বিকালে টর্নেডোর আঘাতের পর, রাতজুড়েই উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। টর্নেডোর পর পরই ওকলাহোমা ন্যাশনাল গার্ডবাহিনীর দুই শ’ সদস্যকে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধারকাজে নিয়োজিত করা হয়েছে।
টর্নেডোর কিছু সময় পরেই স্কুল থেকে নিজের সন্তানকে নিতে এসে রবার্ট রেমন্ড বলেন, টর্নেডোটি চলের যাওয়া পর্যন্ত তারা অপেক্ষা করেন। এরপর বাইরে এসে তারা দেখতে পান, আকাশ থেকে আবর্জনার পাহাড় ছড়িয়ে পড়ছে গোটা এলাকায়।
জানতে পারেন, টর্নেডোর আঘাত থেকে হাসপাতাল, স্থানীয় থিয়েটার হল, স্কুল, বাড়ি ঘর কোনো কিছুই বাদ যায়নি। গোটা এলাকাই কেবল ধ্বংসের চিহ্ন।
আকাশ থেকে শহরতলীর ভিডিও চিত্রে দেখা যাচ্ছিল বেশ বড়সড় এলাকায় ধ্বংসের ছাপ। কিছু কিছু বিল্ডিংয়ে আগুন ধরে গিয়েছে।
পুলিশ জানায়, সেটি ওকলাহোমার শহরতলীতে প্রায় পৌনে ১ ঘণ্টা ধরে তা-ব চালায়।
এদিকে ওকলাহোমার প্রধান মেডিকেল কর্মকর্তা নিহতের সংখ্যা আরো বৃদ্ধির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।