কমলগঞ্জে ভাতিজা কূপিয়ে রগ কাটল চাচার
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি : কমলগঞ্জের শমশেরনগরে জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে আপন ভাতিজা কূপিয়ে জখম করে আপন ভাতিজা পায়ের রগ কেটে নিলেন ছোট চাচার। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে উভয় পক্ষের দুই জনের নাম উল্লেখ করে গং দেখিয়ে একটি মামলা দায়ের করে। পুলিশ উভয় পক্ষের চাচা ভাতিজা দুই জনকে আটক করেছে। গত ২১ মে মঙ্গলবার সন্ধ্যা রাত সাড়ে ৭ টায় শমশেরনগর ইউনিয়নের শিংরাউলী গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ি সূত্রে জানা যায়, শিংরাউলী গ্রামের মরহুম হাজী আকলু মিয়ার বড় ছেলে রফিক মিয়ার সাথে ছোট ছেলে আনোয়ার হোসেন রিমনের জমি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছিল। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে অনেক সামাজিক বৈঠকে সমাধান না হওয়ায় উভয় পড়্গে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। এমনি বিরোধের জের ধরে মঙ্গলবার সন্ধ্যা রাত সাড়ে ৭ টায় রফিক মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়াসহ তার সহযোগীরা ছোট চাচা আনোয়ার হোসেনকে দা দিয়ে কূপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। হামলাকারী ভাতিজা ছোট চাচা আনোয়ারের পায়ের রগ কেটে নেয়। গ্রামবাসীরা পরে গুরুতর আহতাবস্থায় আনোয়ার হোসেনকে উদ্ধার করে প্রথমে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। রাতেই আবার আহত আনোয়ারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এ ঘটনায় রাতেই শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস আই আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে প্রাথমিক ব্যবস্থা গ্রহন হিসাবে ১৫১ ধারায় ্একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল থেকে আহত আনোয়ারের পক্ষের তার বড় ভাই শফিক মিয়া (৫৫) ও হামলাকারী ভাতিজা রুবেল মিয়া (২৫)কে আটক করে। মঙ্গলবার রাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত আনোয়ার হোসেন এ প্রতিনিধিকে জানান, জমি নিয়ে তার বড় ভাইয়ের সাথে বিরোধ চলছে। তবে এখন পর্যন্ত এত হিংস্র ঘটনা ঘটেনি। এবার স্থাণীয় শমশেরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুয়েল আহমেদ ও ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ফারুক আহমদের মদদে ভাতিজা রুবেল তাকে প্রাণে মারার উদ্দেশ্যে দারালো দা দিয়ে কূপায়। তবে আহত আনোয়ারের অভিযোগ সঠিক নয় দাবী করে শমশেরনগর ইউপি চেয়ারম্যান জুয়েল আহমেদ ও ইউপি সদস্য ফারুক আহমদ বলেন, তার(আনোয়ারের) সাথে একটি বিষয়ে বিরোধ চলছে। সে জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে আনোয়ার তাদেরকে এ ঘটনায় জড়িয়েছে। শমশের নগর পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তা ও এ মামলার বাদী এসআই আনোয়ার হোসেন বলেন, আটক উভয় পক্ষের দুইজনকে আসামী করা হয়। তদন্তক্রমে এ মামলায় আরও আসামী করা হতে পারে।