তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

ডেস্ক রিপোর্ট : বিদেশে পলাতক দেখিয়ে অর্থ পাচার মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন ঢাকার জজ আদালত। দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার ২৬ মে ঢাকার বিশেষ জজ-৩-এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক মোজাম্মেল হক দুপুরের পর এ আদেশ দেন। আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, এ মামলায় পলাতক আসামি বর্তমানে যুক্তরাজ্যের লন্ডন শহরে অবস্থান করছেন। যা বিভিন্ন পত্রিকা, রেডিও ও টেলিভিশন মাধ্যমে জানা গেছে। মামলায় তারেক রহমানকে ফেরারি আসামি দেখিয়ে তাকে বিচারের সম্মুখীন করার জন্য যুক্তরাজ্যের লন্ডন শহরে ইংরেজিতে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতার করার আবেদন করা হয়। তারেক রহমানের আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, তারেক রহমান ফেরারি আসামি হয়ে বিদেশে যাননি। মহামান্য হাইকোর্টের অনুমতিক্রমে তিনি চিকিৎসার জন্য লন্ডন গেছেন এবং এখনো চিকিৎসাধীন আছেন। তিনি সুস্থ হয়ে শিগগিরই দেশে ফিরে আসবেন। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির কোনো প্রয়োজন ছিল না। তারেক রহমানের আরেক আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার বলেন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিলের কোনো আদেশ দেয়ার ক্ষমতা বিচারাধীন আদালতের নেই। কয়েকদিন পূর্বে লন্ডনে প্রকাশ্যে বক্তব্য দেয়াকে কেন্দ্র করে সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী তারেক রহমানকে বিদেশ থেকে গ্রেফতার করে আনার বিষয়ে বক্তব্য দেয়ার পর সরকারের লেজুড়বৃত্তি করে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অন্যায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয় এবং আদালত সরকারের নির্দেশ মোতাবেক তা মঞ্জুর করেন। তিনি বলেন, এ মামলার প্রধান সাক্ষী খাদিজা ইসলাম ইতিপূর্বে আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে বলেন, তারেক রহমান বা গিয়াস উদ্দিন মামুনকে তিনি কোনো ঘুষ প্রদান করেননি। তিনি বলেন, এমনিতেই এ মামলা চলতে পারে না কিন্তু সরকার দুদককে ব্যবহার করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে তারেক রহমানকে হেয় করার জন্য এ মামলা পরিচালনা করছে। বর্তমানে এ মামলায় ১০তম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। আগামী ২৯ মে পরবর্তী সাক্ষীর জন্য তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। ২০ কোটি ৪১ লাখের অধিক অর্থ পাচারের অভিযোগ এনে এ আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এর আগে ৯ মে মামলার ১০ম সাক্ষী সোনালী ব্যাংক ক্যান্টনমেন্ট করপোরেট শাখার নির্বাহী অফিসার বিভূতি ভূষণ সরকারের জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ক্যান্টনমেন্ট থানায় এ মামলা করে দুদক। ২০১০ সালের ৬ জুলাই তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। চার্জশিট দাখিলের এক বছর পর ২০১১ সালের ৮ আগস্ট এ মামলার অভিযোগ গঠন করেন আদালত।