কুলাউড়ায় ২১ দিনেও মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ
জালাল আহমদ : মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার কর্মধা ইউনিয়নের নুনা গ্রামের বহুল আলোচিত মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী আছমা বেগম (৪৫) হত্যাকান্ডের ২১ দিন পেরিয়ে গেলেও এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। অপরদিকে মামলার অগ্রগতি নিয়ে অসনেত্মাষ প্রকাশ করছেন পরিবারের সদস্যরা। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সেনাবাহিনীর (অব.) সদস্যের স্ত্রীকে নির্মমভাবে হত্যা করা এবং হত্যাকান্ডের কোনো ক্লু উদ্ধার না হওয়া এবং সন্দেহভাজনদের গ্রেফতার না করায় পুরো বিষয়টি এখন রহস্যময়। অন্যদিকে স্ত্রী হত্যার বিচার চেয়ে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন মুক্তিযোদ্ধা ইয়াকুব আলী।
মুক্তিযোদ্ধা ইয়াকুব আলী অভিযোগ করে জানান, আমি অসুস্থ মানুষ। পুরো পরিবার পরিচালনা করতেন আছমা। ঘটনার দিন বাজার খরচ ও আমার ঔষধ আনতে রবিরবাজারে গিয়েছিলেন আছমা। ১৯৬৫ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দিই আর ’৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। কিন্তু আজ স্ত্রী হত্যার বিচারের জন্য পুলিশ প্রশাসন, স্থানীয় প্রশাসনসহ মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হচ্ছে আমাকে। তিনি আরও জানান, আমার ছোট মেয়ে দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়ে। মামলার অভিযুক্ত আসামী পৃথিমপাশার আমুলী গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে সুমন (২৪) আমার মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। ছেলেটি চোরাকারবারী। তাই আমরা রাজি হইনি। সুমনসহ তার চাচাতো ভাই জসিমকে (২৫) আসামী করে ১৮ দিন আগে মামলা হলেও আজও তাদের আটক করা হয়নি। তিনি আশংকা প্রকাশ করে বলেন, সীমানত্ম দিয়ে আসামীরা ভারতে পালিয়ে গেছে।
প্রসঙ্গত, গত ৫ মে দিবাগত রাতে ফানাই নদীর তীরবর্তী একটি শস্যক্ষেতে ৭ সনত্মানের জননী আছমা বেগমের ক্ষত-বিক্ষত লাশ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে সোমবার সকাল ১০টায় কুলাউড়া থানার ওসি মো: হাসানুজ্জামান জানান, অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টায় আছি, আটক করার পর ক্লু পাওয়া যাবে।