“এভাবে ফাঁসি দিলে আমাকে হত্যা করা হবে”

নিউজ ডেস্ক :: যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেছেন, ‘যেসব অভিযোগে আমাকে ফাঁসি দেওয়া হচ্ছে এসব অভিযোগে আমি অভিযুক্ত নই। যদি এভাবে ফাঁসি দেওয়া হয়, তাহলে আমাকে হত্যা করা হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মুজাহিদের সঙ্গে তার স্বজনরা সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি তাদের এ কথা বলেন।
মুজাহিদের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে কারাফটকে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তার ছোট ছেলে আলী আহম্মদ মাবরুর।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বাবা মানসিক ও শারীরিকভাবে শক্ত এবং সুস্থ আছেন।এই রায়ে তিনি বিচলিত নন।
পরিবারের সদস্যদের মুজাহিদ বলেছেন, ‘যেসব অভিযোগে আমার বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় দেওয়া হয়েছে তা সত্য নয়। আমি নির্দোষ। আমাকে যদি এভাবে ফাঁসি দেওয়া হয়, তবে হত্যা করা হবে।
মুজাহিদ রায় পুনর্বিবেচনার আদেশও শুনেছেন এবং এ বিষয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন বলেও জানান আলী আহম্মদ মাবরুর।
এর আগে দুপুর ২টার দিকে মুজাহিদের সঙ্গে সাক্ষাত করতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যান তার স্ত্রী ও সন্তানসহ পরিবারের ১২ সদস্য। দীর্ঘ এক ঘণ্টা সাক্ষাত শেষে বিকাল পৌনে ৩টার দিকে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হন তারা।
মুজাহিদের সঙ্গে দেখা করা পরিবারের সদস্যরা হলেন- তার স্ত্রী তামান্না-ই-জাহান, বড় ভাই আলী আফজাল মোহাম্মদ খালেছ, ছোট ভাই ওজায়ের এম এ আকরাম, বড় ছেলে আলী আহম্মদ তাজদীদ, মেজ ছেলে আলী আহম্মদ তাহকিক, ছোট ছেলে আলী আহম্মদ মাবরুর, মেয়ে তামরিনা বিনতে মুজাহিদ, বড় ছেলের স্ত্রী ফারজানা জেবিন, মেঝো ছেলের স্ত্রী নাসরিন কাকলি, ছোট ছেলের স্ত্রী সৈয়দা রুপাইদা, ভাগনে আ ন ম ফয়েজ হাদী সাব্বির ও স্বজন নুরুল হুদা।
একাত্তরে বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে বুধবার মুজাহিদকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।