মিয়ানমার থেকে ফিরলেন আরো ৪৮ বাংলাদেশি
প্রবাস ডেস্ক :: মিয়ানমারের জলসীমা থেকে উদ্ধার হওয়া অভিবাসন প্রত্যাশীর মধ্যে আরো ৪৮ বাংলাদেশি ফিরেছেন। বুধবার দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের জিরো পয়েন্ট দিয়ে তারা বাংলাদেশে ফেরত আসেন। এ নিয়ে ৭ দফায় ৭৭৭ অভিবাসী প্রত্যাশীকে দেশে ফিরিয়ে আনা হলো।
বিজিবির ১৭ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে.কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ৪৮ জনের মধ্যে ১৩ জেলার বাসিন্দা রয়েছেন। এদের মধ্যে কক্সবাজারের ১৯ জন। বাকিরা অন্য জেলার।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ জানান, বাংলাদেশি হিসেবে শনাক্ত ৪৮ জনকে বাংলাদেশ সীমান্তের ঘুমধুমে নিয়ে আসার পর ৩টার দিকে পুলিশ তাদের নিয়ে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্দেশে রওনা দেয়।পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
বিজিবি জানায়, ৪৮ বাংলাদেশিকে ফেরত আনতে দুপুর ১২টার দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের জিরো পয়েন্টের ‘বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সেতু’ দিয়ে বিজিবির ২১ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল মিয়ানমার যান। এ দলের নেতৃত্ব দেন ১৭ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে.কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকার। প্রতিনিধি দলে বিজিবি, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও চিকিৎসকও ছিলেন।
বাংলাদেশের ঘুমধুম সীমান্তের বিপরীতে মিয়ানমারের ঢেঁকিবুনিয়ায় ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনাল রেজিস্ট্রি ডিপার্টমেন্ট সঙ্গে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকের পর দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটের দিকে ৪৮ জনকে ফেরত আনা হয় হয়। পতাকা বৈঠকে মিয়ানমারের ১৭ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনাল রেজিস্ট্রি ডিপার্টমেন্টর পরিচালক ইউ স নাইং।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের জলসীমা থেকে সাগরে জাহাজে ভাসমান অবস্থায় গত ২১ মে ২০৮ জন ও ২৯ মে ৭২৭ জন অভিবাসন প্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছিল দেশটির নৌ-বাহিনী। এরপর তাদের বাংলাদেশি বলে দাবি করে মিয়ানমার। পরে উভয় দেশের পররাষ্ট্র দপ্তর তালিকা তৈরি করে যাচাই-বাছাই শেষে বাংলাদেশি হিসেবে শনাক্তদের ফেরত আনা হয়। এর মধ্যে ৮ ও ১৯ জুন, ২২ জুলাই, ১০ ও ২৫ আগস্ট এবং ১২ অক্টোবর ৬ দফায় ৭২৯ জনকে ফেরত আনা হয়।
গত মঙ্গলবার মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) মধ্যে পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশি হিসেবে শনাক্ত আরও ৪৮ অভিবাসন প্রত্যাশীকে ফেরত আনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সর্বশেষ সপ্তম দফায় এদেরকে ফেরত আনার মধ্যে দিয়ে ৭৭৭ জন অভিবাসন প্রত্যাশী বাংলাদেশিকে ফেরত আনা হলো।