প্রতীক নিয়ে প্রচারণায় মহাবৈষম্য!
নিউজ ডেস্ক :: নির্বাচন আইন অনুসারে, ভোটের ২১ দিন পূর্বে প্রতীক বরাদ্দের আগে থেকে প্রচারণা চালাতে পারবেন প্রার্থীরা। সে হিসেবে ৯ ডিসেম্বর থেকে প্রার্থীদের প্রচারণা চালানোর কথা। কিন্তু এবার দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ায় মেয়র প্রার্থীরা সুবিধা পেলেও বিপত্তিতে পড়েছেন স্বতন্ত্র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। প্রতীক নিয়ে দলীয় প্রার্থীরা ৯ ডিসেম্বর থেকে প্রচারণা চালাতে পারলেও প্রতীক ছাড়াই প্রচার চালাতে হবে তাদের।
স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ও কাউন্সিলররা প্রতীক পাবেন ১৪ ডিসেম্বর। ফলে ৯ ডিসেম্বর থেকে এ তারিখ পর্যন্ত তাদের প্রতীক ছাড়াই প্রচারণা চালাতে হচ্ছে।
তবে এতে স্বতন্ত্র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের ‘বিরাট ক্ষতি’ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ।
সোমবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
কেউ প্রতীক নিয়ে আবার কেউ প্রতীক ছাড়া প্রচারণা চালালে ভারসাম্যহীনতা হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের ভোটারা অনেক সজাগ। তারা ব্যক্তিকে ভোট দেবেন। পৌর নির্বাচন ব্যাপক এলাকা নিয়ে হয় না। এলাকায় প্রার্থীদের পরিচিতি থাকে। তাই প্রতীক ছাড়া খুব একটা সমস্যা হবে বলে মনে হয় না।’
তবে প্রতীক যে প্রার্থীদের বাড়তি সুবিধা দেবে, সে কথা অস্বীকার করেননি তিনি। তার মন্তব্য, ‘এতে বিরাট ক্ষতি হবে না।’
প্রতীক নিয়ে আইনগত দিকের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রার্থীরা ৯ ডিসেম্বর থেকে প্রচারণা চালাতে পারবেন। নির্বাচনবিধি যাতে ভঙ্গ না হয় এটা আমরা দেখব।’
নারী কাউন্সিলরদের প্রতীক প্রসঙ্গে মো. শাহ নেওয়াজ বলেন, ‘আসলে প্রতীকগুলো দেয়া হয় চিহ্নিত করার জন্য। কাউকে আঘাত বা ছোট করার জন্য নয়। এক্ষেত্রে তারা যদি এসব প্রতীকে বিব্রত হন, তা হলে আমরা পরবর্তীতে বিষয়টি ভেবে দেখব। এবার সময় স্বল্পতায় ভাবা যায়নি।’
আওয়ামী লীগ এক পৌরসভায় একাধিক প্রার্থীর মনোনয়ন জমা দিয়েছে এমন অভিযোগের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে এক পৌরসভায় একাধিক মনোনয়নপত্র জমার অভিযোগ আসেনি। আইনে আছে এক পৌরসভায় কেউ একাধিক মনোনয়ন দিলে যে দলেরই হোক না কেন সেই দলের সব মনোনয়ন বাতিল হয়ে যাবে। মনোনয়নপত্র রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা আছে। যদি কেউ এটা করে থাকে তাহলে মনোনয়ন বাতিল হবে।’
ইসির বাইরের কর্মকর্তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়ার ব্যাপারে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘এবারই প্রথম জনবল সংকটের কারণে নির্বাচন কমিশনের বাইরে ৬১ জন কর্মকর্তাকে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নিয়োগ দিতে হয়েছে।’