ইসির নির্দেশ মানল না পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়
নিউজ ডেস্ক :: ইসিকে বৃদ্ধা আঙ্গুলি দেখিয়ে একনেকে ১০ প্রল্পর চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে সরকার । অনুমোদিত প্রকল্পের মধ্যে ৭ টি প্রকল্প পৌর নির্বাচন এলাকার আওতাধীন।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এক বৈঠক এসব প্রকল্পর অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান মন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে ব্রিফ করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
এসময় পরিকল্প মন্ত্রী বলেন, নির্রবাচন ও অন্নয়ন প্রকল্প একসাথে চলবে এতে কোন সমস্যা হবে না । আমরা নিরর্বচনের জন্য উন্নয়ন কাজ নিয়ে বসে থাকবনা । কারণ নির্রাচন সারা বছর চলে আমাদের অন্নয়ন কাজ ও চলে।
নিরর্বাচন চলার সময় অন্নয়ন মূলক প্রকল্প না দিতে পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়কে ইসি চিঠি দিয়েছে এমন প্রশ্নর জবাবে তিনি বলেন,আমাদের কাছে তারা চিঠি দিয়েছে । আমরা কোন একক এলাকায় প্রকল্প দেয়নি এটি জাতীয় প্রকল্প তাই আমার মনে হয় কোন সমস্য হবে।
এ গুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হয়েছে ৭ হাজার ২৭৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারী তহবিল থেকে ১ হাজার ৯১৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ৬০২ কোটি ৬০ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৪ হাজার ৭৫৫ লাখ টাকা।
অনুমোদিত প্রকল্প গুলো হচ্ছে, ইন্সটলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং উইথ ডাবল পাইপ লাইন প্রকল্প,এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৪ হাজার ৯৩৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। পশ্চিমাঞ্চলীয় গ্রিড নেটওয়ার্ক উন্নয়ন প্রকল্প, এর ব্যয় ১ হাজার ৪২৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা। চট্রগ্রাম, মংলা, আইসিডি কমলাপুর এবং বেনাপোল কাস্টম হাউজের জন্য কন্টেইনার স্ক্যানার ক্রয় প্রকল্প, এর ব্যয় ১১৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।
বাকেরগঞ্জ-পাদ্রীশিবপুর-কাঠলতলি-সুবিদখালী-বরগুনা সড়ক প্রশস্তকরণ ও মজবুতিকরণ প্রকল্প, ১৪৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা। বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন সড়ক প্রশস্তকরণসহ উন্নয়ন এবং ব্রীজ কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্প, এর ব্যয় ৮৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, এর ব্যয় ২৮১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। স্কিলস ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রকল্প, এর ব্যয় ১৬২ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।
সমন্বিত কৃষি কর্মকান্ডের মাধ্যমে কুমিল্লা জেলার লালমাই-ময়নামতি পাহাড়ী এলাকার জনগনের জীবন-জীবিকার মানোন্নয়ন প্রকল্প, এর ব্রয় ৫৩ কোটি টাকা। সমবায়ে মাধ্যমে ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠির জীবন যাত্রার উন্নয়ন প্রকল্প, এর ব্যয় ৩৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। পার্বত্য চট্রগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় মিশ্র ফল চাষ প্রকল্প, এর ব্যয় ৩৬ কোটি ৮১ লাক টাকা।