সাকার রায় ফাঁসকারী ফখরুলের মুক্তিতে বাধা নেই
নিউজ ডেস্ক :: যুদ্ধপরাধের দায়ে ফাঁসি কার্যকর হওয়া বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামকে হাই কোর্টের দেয়া জামিন আদেশ বহাল রেখেছে চেম্বার বিচারপতি। ফলে তার মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই।
বিষয়টি জানিয়েছেন, ফখরুলের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম সুমন। তিনি বলেন, গত ৭ ডিসেম্বর ‘সাকার যুদ্ধাপরাধের রায় ফাঁসের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার হাই কোর্ট থেকে জামিন নিয়েছিলেন ফখরুল।
সেই জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আজ চেম্বার বিচারপতির আদালতে গেলে শুনানী শেষে বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন তার আদেশে বলেন, নো অর্ডার অর্থাৎ হাইকোর্টে জামিন আদেশ বহাল। তার বিরুদ্ধে অন্য কোনো মামলা না থাকায় তার মুক্তিতে আইনগত আর কোনো বাধা নেই। আজ আদালতে ফখরুলের পক্ষে শুনানী করেন সুপ্রিমকোর্ট বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান ভূইয়া। অপরদিকে রাষ্ট্রপেক্ষ ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খন্দকার দিলিরুজ্জামান।
হাই কোর্টের জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ চেম্বার বিচারপতির আদালতে আজ বৃহস্পতিবার একটি আবেদন করে। এ আবেদনের শুনানি করে হাই কোর্টের দেয়া আদেশের ব্যাপারে আদালত ‘নো অর্ডার’ দেন। এই মুহূর্তে কারগার থেকে ফখরুল ইসলামের মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই।
প্রসঙ্গত, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদেরকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। তবে রায়ের আগেই সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্য এবং আইনজীবীরা রায় ফাঁসের অভিযোগ তোলেন। তারা রায়ের ‘খসড়া কপি’ও সংবাদকর্মীদের দেখান।
এ ঘটনায় রায় ঘোষণার পরদিনই ট্রাইব্যুনালের (রেজিস্ট্রার) একেএম নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে ২ অক্টোবর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে শাহবাগ থানায় একটি জিডি করেন। পরে ৪ অক্টোবর ডিবি পুলিশ শাহবাগ থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।
ট্রাইব্যুনালের কর্মচারী নয়ন ও ফারুক হোসেনকে ২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই বছরের ২০ নভেম্বর সেগুনবাগিচায় পাইওনিয়ার রোডের চেম্বার থেকে সাকার আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।