সৌদি আরবের চাহিদা মেটানোর মতো অবস্থানে নেই বাংলাদেশ
নিউজ ডেস্ক :: সৌদি আরবে গৃহকর্মীর চাহিদা মেটানোর মতো অবস্থানে নেই বাংলাদেশ। দু’দেশের মধ্যে যখন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় তখন বলা হয়েছিল বাংলাদেশ ৫ লাখ গৃহকর্মী পাঠাবে সৌদি আরবে। কিন্তু গত সাত মাসে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১৫ হাজার গৃহকর্মী পৌঁছেছেন সৌদি আরবে। তার মধ্যে এ সময়ে নিয়োগকারীর বাসা থেকে পালিয়েছেন কমপক্ষে ১৫০ গৃহকর্মী। তাদেরকে পরে ধরে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এতে বাংলাদেশী গৃহকর্মী নেয়ার ক্ষেত্রে খরচ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুন। সৌদি আরবে বাংলাদেশী দূতাবাসের একটি সূত্র এ কথা বলেছেন। তিনি আরও বলেন, গৃহকর্মী পালিয়ে যাওয়ার জন্য তিনটি কারণ চিহ্নিত করেছে দূতাবাস। তার মধ্যে রয়েছে বাসায় অতিরিক্ত টুকিটাকি কাজ, দেশে ফেলে আসা স্বজনদের প্রতি টান ও নিয়োগকারীর অসদাচরণ।
ওই সূত্র আরও বলেছেন, তাারা আশা করছেন আগামী কয়েক মাসে আরও বাংলাদেশী গৃহকর্মী যাবেন সৌদি আরবে। তবে যারা নিয়োগকারীর বাসা থেকে পালিয়েছেন তারা কোন আর্থিক ক্ষতিপূরণ পাবেন না। রিক্রুটমেন্ট অফিসও কোন ক্ষতিপূরণ দেবে না।
এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৫২ হাজার শ্রমিক গিয়েছেন সৌদি আরবে। এর বেশির ভাগই পরিচ্ছন্নকর্মী, ওয়েল্ডার ও অন্য বিভিন্ন পেশার মানুষ। রিক্রুটমেন্ট বিশেষজ্ঞ খালেদ আল সাইফ বিশ্বাস করেন যে, সৌদি আরবে যে পরিমাণ গৃহকর্মী প্রয়োজন তা সরবরাহের মতো অবস্থানে নেই বাংলাদেশ। তিনি বলেন, যখন দু’দেশ শ্রম বিষয়ক চুক্তি স্বাক্ষর করে তখন সৌদি আরবে ৫ লাখ গৃহকর্মী পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এখন পর্যন্ত মাত্র ১৫ হাজার গৃহকর্মী পাঠাতে পেরেছে বাংলাদেশ। তার ভিতর থেকে পালিয়েছেন ১৫০ জন।
খালেদ আল সাইফ বলেন, এসব গৃহকর্মীর বেশির ভাগই গিয়েছেন বিক্রুটমেন্ট কোম্পানির মাধ্যমে, কোন অফিসের মাধ্যমে নয়। কারণ, বাংলাদেশ কোম্পানির মাধ্যমে লোক পাঠানোকেই উপযুক্ত মনে করেছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ থেকে গৃহকর্মী নেয়ার খরচ ৭ হাজার সৌদি রিয়াল থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার রিয়াল।